ফাঁসিদেওয়া: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ (Child Rape) এবং শারিরীক নিগ্রহের অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনলেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একইসঙ্গে, নিন্দার ঝড় উঠেছে সবমহলে। গত মাসের ৩০ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাঁসিদেওয়াতে (Phansidewa) ঘটনাটি ঘটেছে। অথচ, ভয়ে মুখ খুলছিলেন না নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে, সোমবার রাতে শিশুকন্যার পরিবারের তরফে ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপরই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
অন্যদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে পাড়ার অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলো করছিল ওই শিশু। বাবা এবং মা সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় প্রতিবেশী ওই কিশোর শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে, পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ছোট্ট মেয়েটিও কিশোরের সঙ্গে চলে যায়। এরপরই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়িতে বাবা-মা ফিরলে, মেয়েটি ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে সবটা জানায়। সোমবার রাতে মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
পরিবারের তরফে থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে কারও কাছে মুখ খুললেই প্রাণে মেরে ফেলা হবে। পরবর্তীতে অবশ্য এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা হয়। এরপরই বুকে বল পান নির্যাতিতার পরিবার। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের জেজেবি (জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড) তে পাঠানো হয়েছে৷ আদালতের বিচারকের নির্দেশ অনুয়ায়ী অভিযুক্তকে হোমে পাঠানো হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতার চিকিৎসার পর তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।