ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতে ওবেসি শিশুর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। দুবছর বাড়িতে থেকে মোবাইল ও ল্যাপটপের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আর অত্যধিক মাত্রায় ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে তাদের শরীরে বাসা বেঁধেছে অনেক অসুখ। এরমধ্যে বেশি সমস্যা পাকিয়েছে অতিরিক্ত ওজন। কিন্তু শিশুদের এই ধরনের সমস্যা নিয়ে অভিভাবকরা তেমন সচেতন নন। লিখেছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সঞ্জয় চৌধুরী
১৯৭৫সাল থেকে বিশ্বজুড়ে ওবিসিটি বা স্থূলতা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। ৫ বছরের কমবয়সি অতিরিক্ত ওজনের শিশুদের সংখ্যা ২০২০ সালে ছিল প্রায় ৩ কোটি। ৫-১৯ বছর বয়সি অতিরিক্ত ওজনের শিশু ও কিশোরদের সংখ্যা ২০১৬ সালে ছিল ৩৪ কোটি। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হলে এই অবস্থা হয়ে থাকে, যা স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।
বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স উচ্চতার জন্য ওজনের সরল সূচক, যা বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের ওবিসিটি নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। বিএমআই পদ্ধতিতে আদর্শ ওজন বের করার উপায়, ওজনকে উচ্চতার বর্গ দিয়ে ভাগ করতে হবে। অর্থাৎ বিএমআই = ওজন /উচ্চতা২(এখানে ওজন কেজি এবং উচ্চতা মিটারে হিসেব করতে হবে)। হু-এর মতে, যদি বিএমআই ২৫-এর বেশি হয় তাহলে তা অতিরিক্ত ওজন এবং ৩০-এর বেশি হলে ওবেসিটি বলে বিবেচিত হবে।
কারণ : অতিরিক্ত ওজনের প্রধান কারণ, ক্যালোরি গ্রহণ এবং ক্যালোরি ব্যয় করার মধ্যে শক্তির ভারসাম্যহীনতা। এছাড়া বিশ্বজুড়ে যেসব কারণ দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে –
১) অত্যধিক মাত্রায় ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া, যাতে ফ্যাট এবং শর্করা বেশি থাকে।
২) নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন বৃদ্ধির সঙ্গে শারীরিক সক্রিয়তা কমে যাওয়া এবং পরিবহণের ধরনে বদল, নগরায়ণ বৃদ্ধি প্রভৃতি।
৩) বাচ্চাদের মধ্যে স্ক্রিন টাইম বেড়ে যাওয়া, যেমন দীর্ঘক্ষণ টিভি দেখা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইলে সময় কাটানো এবং সঙ্গে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত জাংকফুড খাওয়া ওবিসিটির আরও একটি কারণ।
কী সমস্যা হতে পারে
উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য কার্ডিয়াক ডিজিজ
ডায়াবিটিস
অস্টিওআরথ্রাইটিস
কিছু ধরনের ক্যানসার
শ্বাসকষ্ট
অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়
পরিবারে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করা
ফ্যাট এবং শর্করা জাতীয় খাবার থেকে কম মাত্রায় ক্যালোরি গ্রহণ
বেশি করে ফল, সবজি, শিম্ব ও শস্যজাতীয় খাবার এবং বাদাম খাওয়া
নিয়মিত শরীরচর্চা করা
ছমাস পরপর বিএমআই চেক করিয়ে নেওয়া
মনে রাখবেন
প্রক্রিয়াজাত খাবার যাতে ফ্যাট, শর্করা এবং লবণ থাকে, সেইসব খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
সকলের জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার উপলব্ধ রয়েছে কি না, নিশ্চিত করতে হবে
চিনিযুক্ত পানীয়, বার্গার, চিপস, পিৎজা যেন বাচ্চার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় না থাকে
আরও পড়ুন: Health Benefits Of Lady Finger | ফিট থাকতে রোজ খান ঢ্যাঁড়শ ভেজানো জল, জেনে নিন স্বাস্থ্যগুণ…..