বেজিং: ফের বিতর্কে চিন। এবার সংখ্যালঘু উইঘুরদের গণহত্যার অভিযোগ ওড়াল ড্রাগনের দেশ। এদিকে বেজিংয়ের দাবি, দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শ্রম আইন রয়েছে। ফলে তাদের দেশে উইঘুর মুসলিমরা সমস্ত রকমের নাগরিক অধিকার নিয়ে যথেষ্ট ভাল রয়েছেন। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু কতটা ‘সুরক্ষিত’, সেই কথা বোঝাতে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদের সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে চিন।
সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। গোটা প্রক্রিয়া যথাযথ আইন মেনেই চলছে। সেখানে বিগত চার বছরে কোনও বড় ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়নি। শিনজিয়াংয়ে সামাজিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের সাক্ষী উইঘুর মুসলিমরা। এসব থেকে সাফ বোঝা যায় যে সেখানে গণহত্যা, বন্দিশিবিরে জোর করে কাজে বাধ্য করা ও ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন অভিযোগ চিনের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে আনা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের উপর রাশ টেনেছে চিন। সেখানে উইঘুর ও অন্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, ইসলাম ধর্মের পবিত্র দিন শুক্রবারে বন্দিশিবিরে থাকা উইঘুর মুসিলমদের জোর করে শুয়োরের মাংস খাওয়াচ্ছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। কয়েকদিন আগে বিবিসির তরফে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম মহিলাদের উপর পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চিন। সেই রিপোর্টকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।