রাঙ্গালিবাজনা: গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে আলিপুরদুয়ার(Alipurduar) জেলার মাদারিহাটের খয়েরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একপ্রকার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। ইসলামাবাদ গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা শরিফা বেগম ও তাঁর স্বামী ইউসুফ আলির বিরুদ্ধে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরির অভিযোগ করেন দলেরই অঞ্চল সভাপতি জবাইদুল ইসলাম। আবার জবাইদুলের বিরুদ্ধে কাজ না করেও একশো দিনের পারিশ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করে ইউসুফ গোষ্ঠী। আবার ইউসুফ সহ দলেরই আরেক পঞ্চায়েত সদস্যা মিলি বেগম ও তাঁর স্বামী হাপিজার রহমান তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ জবাইদুলের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার রাতে আম-তৃণমূলীদের নিয়ে সভা ডাকেন জবাইদুল। তাঁকে তৃণমূলেরই কিছু লোকজন চক্রান্ত করে ফাঁসাচ্ছে বলে দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে নালিশ জানান তিনি। তৃণমূল বনাম তৃণমূলের এই লড়াইয়ে বর্তমানে সরগরম খয়েরবাড়ি। তৃণমূলের লোকজন একে অপরের বিরুদ্ধে যতই কাদা ছুড়ছে ততই একের পর এক দুর্নীতির পর্দা উন্মুক্ত হচ্ছে। সামনে আসছে কাজ না করেও একশো দিনের পারিশ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়গুলি। তবে দলীয় নেতৃত্ব এতে বিব্রত বোধ করলেও ঘটনাগুলিকে গোষ্ঠী কোন্দল হিসেবে মানতে নারাজ।
এদিকে ‘খেলা’ শুরু করে দিয়েছে জবাইদুলের অনুগামীরাও। ইউসুফ অনুগামীদের ভাঙিয়ে মূলস্রোতে ফোরানোর আপ্রাণ চেষ্টা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যা মিলি বেগম ও তাঁর স্বামী হাপিজার রহমান। আর ইউসুফের বক্তব্য, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। তাঁরা সবাই তৃণমূল করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিতে জলমগ্ন চরতোর্ষা ডাইভারশন, স্কুলে যেতে পারল না পড়ুয়ারা