রতুয়াঃ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে এবার বিতর্কে তৃণমূল বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুর্যোধন ও দুঃসাশনের সঙ্গে তুলনা করলেন সাবিত্রী মিত্র। বিধায়িকার এই মন্তব্যে আলোড়ণ সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রবিবার রতুয়ার একটি দলীয় সভায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমন করেন তিনি।
কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধীতায় রবিবার বিকেলে রতুয়া বিধানসভার কাহালা হাই স্কুল মাঠে প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করে মালদা(Malda) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। দিন কয়েক আগে এই মাঠেই বিজেপি মুখপাত্র সজল ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। তার মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পাল্টা প্রকাশ্য জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। দেশের মহিলা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের শেষ হতে না হতেই এবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন এই তৃণমূল বিধায়িকা। এদিন তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্যোধন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুঃসাশন। শুধুমাত্র নারীদের বস্ত্র হরণ করে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোন অবদান নেই গুজরাটের। গুজরাটিরা ব্রিটিশদের অস্ত্র সরবরাহ করেছে। সেই গুজরাট থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তার মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’ শুনবো না। তিনি বিজেপিকে ‘বিড়াল’ বলে কটাক্ষ করেন। বিজেপি হচ্ছে বিড়ালের দল তারা মাছ চুরি করে খায়। যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন তাদের দলবদলু বলে কটাক্ষ করেন।
এই বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করি। আমরা সজল ঘোষের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছি মাত্র। কিন্তু আমরা ব্যক্তি আক্রমণ কাউকে করিনা।
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, ‘সিপিএম সোনিয়া গান্ধীকে ‘ডাইনি’ বলেছিল, রাজীব গান্ধীকে ‘দালাল’ বলেছিল। সেই সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জোট করে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে চাইছে। তারা জোট বেঁধে বিজেপিকে সহযোগিতা করছে। এরা বাংলার উন্নয়ন চাই না। তিনি নাম না করে রতুয়ার দাপুটে নেতা শেখ ইয়াসিনের উদ্দেশ্যে বলেন অন্য দল থেকে আসতে গেলে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করতে হবে। তিনি যদি অনুমতি দেন তাহলে দলে কাউকে নেওয়া যাবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি ছাড়া আমারও ক্ষমতা নেই কাউকে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করানোর। দলে যোগদান করতে গেলে জেলা সভাপতি জেলা চেয়ারম্যানের অনুমতি লাগবে।
আরও পড়ুনঃ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার