চাঁচল: জবকার্ডধারীদের বঞ্চিত করে রাতে আর্থমুভার দিয়ে পুকুর খননের অভিযোগ উঠল চাঁচল-২ ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত জালালপুর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাতে ওই পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে আর্থমুভার দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ফলে এলাকার একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত জবকার্ডধারী শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না। ফলে কাজ না পেয়ে কার্যত অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। এই মর্মে চাঁচল ২-এর বিডিও ও চাঁচল মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানানোর পর কাজ আপাতত বন্ধ করে রেখেছে প্রশাসন। এদিকে, কাজ চাইতে গিয়ে প্রধানের স্বামী এবং তাঁর লোকজন জবকার্ডধারীদের ওপর হামলাও করছেন বলে অভিযোগ। প্রধান ও তাঁর লোকজনের হামলায় এক বিশেষভাবে সক্ষম শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জখম হয়ে বাড়িতেই রয়েছেন বলে অভিযোগ।
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাসতারা বিবির স্বামী হবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আর্থমুভার দিয়ে নয়, জবকার্ডধারী শ্রমিকদের দিয়েই পুকুর খনন করা হচ্ছে। যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁরা আসলে শ্রমিক নন। তাঁরা বিজেপির নেতা-কর্মী। তাঁরা চাইছেন, এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ না হোক। প্রশাসন তদন্ত করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।’
এলাকার বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসির বক্তব্য, ‘ওখানে শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন না। অভিযোগ করছেন স্থানীয় কয়েকজন বিজেপির নেতা-কর্মী। তাঁরা ভাগ পাচ্ছেন না, তাই এমন অভিযোগ করছেন। মালতীপুরে কাজও হচ্ছে। শ্রমিকরা বঞ্চিত নন।’ বিজেপির মালদা জেলা যুব মোর্চার সহ সভাপতি সুমিত সরকার সাফ বলেন, ‘নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতেই শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে।’
চাঁচল ২-এর বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়া হয়। তদন্তের রিপোর্টও জমা পড়েছে। রিপোর্টে কোনও গরমিল থাকলে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : সিপিএম শ্রমিক নেতৃত্বের স্মরণে শহিদ দিবস পালন চোপড়ায়