রাজীব বসাক, তুফানগঞ্জ: একশো দিনের কাজের সমবণ্টন নিয়ে দুই পরিবারের সংঘর্ষের জেরে আহত হলেন ৪ জন। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে তুফানগঞ্জের চিলাখানা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আমলাগুড়ি দ্বিতীয় খন্ডের ৮/৭৫ নম্বর বুথে। ঘটনায় আহত হয়েছেন গণেশ দাস (৫৫), আলোরানি দাস (৫০), রবি দাস(২১) ও নিন্ত্যানন্দ দাস (১৭)। তাঁরা বর্তমানে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গণেশ দাস এবং কার্তিক দাস সম্পর্কে ভাই। ইতিমধ্যে চিলাখানা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হয় গণেশ দাসকে। জানা গিয়েছে, গণেশ দাস তৃণমূল সমর্থক এবং কার্তিক দাস বিজেপি সমর্থক। অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরেই ১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছিল বলে অভিযোগ। গতকাল রাতে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। কার্তিক দাসের পরিবার চড়াও হয় গণেশ দাসের পরিবারের ওপর। কার্তিক দাস ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারিতে রাজনৈতিক অভিসন্ধি খুজছে অন্যরা’। তবে গণেশ দাস যদিও একশো দিনের কাজের সমবণ্টন নিয়েই ঘটনাটি বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় গণেশ দাসের পরিবারের ৪ জন আহত অবস্থায় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই বিষয়ে চিলাখানা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান মতিলাল দাস জানান, বিষয়টি এদিন সকালেই জানতে পারি। আহতদের সঙ্গে দেখা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নাটাবাড়ি বিধানসভার কো কনভেনার চিরঞ্জিৎ দাস জানান, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতেই তৃণমূল কংগ্রেস পারিবারিক গণ্ডগোলে রাজনৈতিক রং লাগাচ্ছে। এই মারামারিতে বিজেপির কোনও যোগ নেই। কার্তিক দাস ও গণেশ দাস দু’জনই বিজেপি সমর্থক। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বুদ্ধদেব দাস বলেন, ‘আমার এলাকায় প্রতিটি লোককে সমানভাবে একশো দিনের কাজ দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ২৮ দিন অন্তর অন্তর ভাগ করে কাজ দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও আমার বাড়িতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। গতকাল রাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক গণেশ দাসের পরিবারকেও মারধর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা তুফানগঞ্জ থানার পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছি।’ ঘটনার তদন্ত চলছে।