ডিজিটাল ডেস্ক : কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেই নির্বাচনে অবশ্য মল্লিকার্জুন খাড়গে জয় পেয়েছেন। আর তারপর থেকেই শশী থারুরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে। আর তাই নিয়েই এবার মুখ খুললেন তিরুবন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা কর্মীদের একাংশ দাবি করতে শুরু করেছেন, সভাপতি নির্বাচনে হেরে যাবার পর থেকেই শশী থারুর সমান্তরালভাবে দল চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর এই অভিযোগকেই একেবারে ভ্রান্ত বলে দাবি করলেন শশী থারুর। একইসঙ্গে তিনি বুধবার জানিয়েছেন, “সমান্তরাল বলতে কি বোঝানো হচ্ছে, সেটা জানতে আমি খুবই আগ্রহী। আমার কোনও কলেজ বা সিভিল সার্ভিসের অ্যাকাডেমিতে কথা বলার অধিকার রয়েছে। সেটাই আমি করছি। এতে কেউ আমাকে বাধা দিতে পারেন না।” আর তারপরেই তিনি কংগ্রেসকে নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেন।
তবে সরাসরি তিনি কংগ্রেস নেতৃত্ব বা গান্ধী পরিবার সম্পর্কে কোনো সমালোচনা করেননি। তবে তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। আমি দলের মধ্যে উপদল তৈরির ঘোর বিরোধী। যে দিন থেকে রাজনীতি করছি, আমি কখনও দলের কোনও গোষ্ঠীতে যাইনি। দলের মধ্যে আমি কোনও গোষ্ঠীও তৈরি করিনি। আমি সংযুক্ত কংগ্রেস পার্টিতে বিশ্বাসী।” কংগ্রেসের একাংশ নেতাদের দাবি, শশী থারুর মূলত কেরালায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে নিজেকে পরিচিত করতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত ২০২৬-এ কেরালা বিধানসভা ভোট। আর সেই ভোটকেই সামনে রেখে শশী থারুর জনসংযোগ বাড়াচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে কেরালা কংগ্রেসের একাংশ শশী থাকুরের এই পদক্ষেপ মোটেই ভালো চোখে দেখছে না। সেখানকার কংগ্রেস নেতা ভিডি সাথিনসন জানিয়েছেন, “এখানে দলের মধ্যে উপদল তৈরি হলে, ভোটে তার প্রভাব পড়বেই। ২০২৬-র ভোটে ফের ক্ষমতায় ফিরতে পারে কংগ্রেস। এই অবস্থায় কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত নয়।” কার্যত শশী থারুরকে নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। তবে এখনো পর্যন্ত শশী থারুরকে নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি কিংবা গান্ধি পরিবারের কেউ মুখ খোলেননি। নিঃসন্দেহে পুরো বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাইপোর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার