উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ৬ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে কলকাতা ও জেলার সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ। বিভিন্ন সংবাদপত্রে এমনই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সরকারি মেডিকেল কলেজে টাকার বিনিময়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার এমন বিজ্ঞাপন সংস্থার বিরুদ্ধে সরকারি নজরদারির দাবি জানিয়ে টুইট করেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ (Shankar Ghosh)।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছেন প্রাক্তণ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মাথা পিছু হাজার হাজার টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির নিশ্চয়তা দিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বেসরকারি সংস্থা। বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ৬ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ। এরজন্য কোনও অগ্রিম দিতে হবে না ছাত্রছাত্রীদের। ভর্তির পরই দিতে হবে ৬ লক্ষ টাকা।
Is This add. Legal?
Is this a trap for selling govt. College seats ?
এই বিজ্ঞাপন কি বৈধ ?
না কি সরকারি কলেজের আসন বিক্রির ফাঁদ ?@MamataOfficial @SuvenduWB @amitmalviya @DrSukantaBJP @Amrita_06_11 @swarnalisarkar @Priyankabjym @SwarnaliM pic.twitter.com/TTAUN3by1p— Dr. Shankar Ghosh (@ShankarGhoshBJP) December 2, 2022
নিট পরীক্ষায় পাশ করে মেধা তালিকার ভিত্তিতে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় ছাত্রছাত্রীরা। তাহলে কি করে কোনও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংবাদপত্রে এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, তা নিয়ে টুইট করে এই ধরনের বিজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তাঁর দাবি, এই বিজ্ঞাপন আসলে সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন বিক্রির ফাঁদ। শংকর ঘোষ বলেন, ‘সরকারি মেডিকেল কলেজে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ মেলে। কিন্তু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ডাক্তারিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার বিজ্ঞাপন যারা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি স্তরে তদন্ত হওয়া উচিৎ।’
তিনি মনে করেন, ‘এই বিজ্ঞাপনদাতারা প্রতারণা চক্রও হতে পারে। নতুবা এদের পেছনে বড় কোন প্রভাবশালী মাথা রয়েছে। অনেকেই নিজেদের সন্তানদের ডাক্তার তৈরি করতে এই ধরনের প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা দেয়। মেধার ভিত্তিতে তাঁরা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও এই বেসরকারি সংস্থাগুলো নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করে টাকা আদায় করে। সরকারের উচিৎ অবিলম্বে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদেক্ষেপ নেওয়া।’