দেওয়ানহাটঃ কোচবিহার-১ ব্লকের অন্তর্গত ধলুয়াবাড়ি গ্রামের বছর ৬০-এর বাসিন্দা সমর দে ভুগছেন মুখের ক্যানসারে। মুম্বইয়ের এক বিশিষ্ট চিকিৎসক দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। অপারেশন সহ সমগ্র প্রক্রিয়ার জন্য প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সমরবাবুর পরিবারের পক্ষে এই বিপুল টাকার সংস্থান এককথায় অসম্ভব। দিন আনা দিন খাওয়ার সংসারে তাঁদের হাড়িই ঠিকমতো চড়ে না। লকডাউনের জেরে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। এমতাবস্থায় সমরবাবুর অপারেশন কীভাবে হবে, তা ভেবে দিশেহারা তাঁর স্ত্রী ও পুত্র। জেলার সাংসদ, মন্ত্রী সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি বা কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিক, করজোরে এই প্রার্থনা করছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সমরবাবুর মুখে টিউমার ধরা পড়ে। ২০১৬ সালে কয়েকজনের আর্থিক সহায়তায় বেঙ্গালুরুতে তাঁর অপারেশন হয়। অপারেশনের পর বায়োপসি রিপোর্টে তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। সেসময় কোচবিহার ক্যানসার হাসপাতালে রেডিয়েশন দেওয়ার পর তিনি সুস্থ হন। মাঝে কোনও সমস্যা ছিল না। ঘুঘুমারি বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করে তিনি সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই ফের বিপত্তি ঘটে। তাঁর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এসময় শিলিগুড়িতে আগত মুম্বইয়ের এক চিকিৎসক সমরবাবুকে দেখে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন।
সমরবাবুর ছেলে পিন্টু দে জানিয়েছেন, কাপড়ের ছোট্ট ব্যবসা ছাড়া তাঁদের আয়ের কোনো উৎস নেই। ব্যবসা থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে ঠিকমতো সংসার চলে না। এদিকে অপারেশনের আগে চিকিৎসক মাসে প্রায় ১৫ হাজার টাকার ওষুধ লিখে দিয়েছেন। কোচবিহারের সমাজসেবী জনৈক দীপঙ্কর মণ্ডল গত দু’মাস যাবৎ ওষুধের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু অপারেশন না হলেও সমরবাবুর স্থায়ী সুস্থতা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে পিন্টুবাবু বলেন, ’বাবার শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। অর্থাভাবে কিছুই করতে পারছি না। লকডাউনের জেরে ব্যবসাও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে সহৃদয় কোনো ব্যক্তি এগিয়ে এলে আমরা অত্যন্ত উপকৃত হব।’