উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকায় অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াল পুলিশ। কোথাও নিঃসঙ্গ ও বয়স্ক নাগরিকদের হাতে তুলে দেওয়া হল খাবার, কোথাও আবার ওষুধপত্র। এই পরিস্থিতিতে প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের সাহায্যের চিত্র ধরা পড়ছে উত্তরবঙ্গের কোণায় কোণায়। কাউকে যাতে খুব সমস্য়ায় পড়তে না হয় তার জন্যে অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
শুক্রবার আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ এলাকার অন্তত ১০০ অসহায় পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জয় টুডু বলেন, ‘কার্যত লকডাউনে বিশেষ করে গরিব পরিবারগুলি অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০টি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল সহ কিছু খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হল। এধরনের কর্মসূচি আরও করা হবে।’ এদিন আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পূর্ব) শুভেন্দ্র কুমার, এনজেপি থানার ওসি সুবীর তামাং, আমবাড়ি ফাঁড়ির ওসি মহেশ সিং।
এদিকে, শহরের নিঃসঙ্গ ও বয়স্ক নাগরিকদের হাতে রান্না করা খাবার তুলে দেন গঙ্গারামপুর থানা ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে রান্না করা খাবার পেয়ে স্বস্তির হাফ ছেড়েছেন প্রবীণ নাগরিকরা। খাবার সহ ওষুধপত্র সংগ্রহ করতে যাঁরা সমস্যায় পড়ছেন তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে গঙ্গারামপুর পুলিশ। এরপর সেসব মানুষের বাড়ি বাড়ি রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপ কুমার দাস, গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু, এসআই শুভঙ্কর চক্রবর্তী প্রমুখ। এদিন প্রায় ৫০ জন মানুষের হাতে রান্না করা খাবার তুলে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপ কুমার দাস বলেন, ‘শহরের একাকী বয়স্কদের হাতে খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের ফোন নম্বর দেওয়া থাকছে। কোনওরকম সমস্য়া হলে তাঁরা আমাদের ফোন করলে সবরকম সাহাষ্য করা হবে।’ গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু বলেন, ‘থানাতে খাবার রান্না করা হচ্ছে। যতদিন কড়া বিধিনিষেধ থাকবে তাঁদের খাবার পৌঁছে দেব আমরা।’