নয়াদিল্লি: দেশে করোনা মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়াল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবার সকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০০৭ জনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। এর আগে একদিনে এত মৃত্যু হয়নি দেশে। এর ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০০৭। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৪০০ জনের। গুজরাটে মৃত্যু হয়েছে ১৮১ জনের। মধ্যপ্রদেশও পিছিয়ে নেই। সেখানে মৃতের সংখ্যা শতকের ঘর পেরিয়েছে (১২০)। দিল্লিতে মৃত ৫৪।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৯৭ জন। এই নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১৩৩২। মাত্র এক সপ্তাহে দেশে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৬৯৬ জন। মহারাষ্ট্রে মৃতের মতো আক্রান্তের সংখ্যাও অন্য রাজ্যগুলির চেয়ে বেশি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩১৮ জন। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি গুজরাট, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ওই রাজ্যগুলিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৭৪৪, ৩৩১৪, ২৩৮৭ ও ২৩৬৪।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত বাংলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৫। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১৯ জন। অর্থাত্, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাবে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগী ৫৮৪ জন। যদিও রাজ্য সরকারের গতকাল বিকেলের দেওয়া হিসেব বলছে, এ রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৫২২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১৯ জন।
উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ২০৫৩ ও ৩৪। অন্ধ্রপ্রদেশের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ১২৫৯ ও ৩১। এছাড়া তামিলনাড়ুতে মৃত ২৫ জন৷ পঞ্জাবে মৃত ১৯। এছাড়া জম্মু-কাশ্মীরে ৮, কেরলে ৪ এবং ঝাড়খন্ড, হরিয়ানায় ৩টি করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৷ বিহারে করোনায় মৃত ২। মেঘালয়, হিমাচল, ওড়িশা, অসমে একটি করে মৃত্যুু হয়েছে৷
মে মাসের শেষদিকে সারা ভারতে করোনা সংক্রমণের ডাবলিং রেট (যতদিনে সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে তার হার) কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২১ মার্চ ডাবলিং রেট ছিল ৩ দিন। লকডাউন চালু হওযার পর এখন তা ৮.৬ দিন হয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি এটা ১০ দিনে গিয়ে দাঁড়াবে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ধারণা।