বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মঙ্গলবার থেকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কার্যকর করা হল। জানা গিয়েছে, মেডিকেল কর্তৃপক্ষের তরফে কয়েকদিন আগে হাসপাতাল থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ড সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এবার একই কারণে হাসপাতালে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কার্যকর করা হল। দিন চারেক থেকে হাসপাতালে ঢোকার প্রধান দুটি ফটোকের সামনে স্বাস্থ্যকর্মীরা থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের কাজ শুরু করেছে। মাস্ক, টুপি সহ পিপিই পড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের থার্মাল স্ক্রিনিং করার পরই তাঁদের হাসপাতালে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
একইভাবে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালে কর্মীদেরও হাসপাতালে প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায় জানান, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সর্বক্ষণ রোগী তাদের পরিবারের লোকজন এবং চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। তাই কারও মাধ্যমে যাতে করোনা না ছড়ায় তার জন্য রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের হাসপাতালে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কার্যকরী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি শহর পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
হাসপাতালে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে ঢোকার দুটি প্রধান গেটের সামনে ডিজিটাল থার্মোমিটার নিয়ে হাজির থাকছেন। সেখানে নিশ্চিত হওয়ার পরই স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের জরুরী বিভাগ ও বহির্বিভাগে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন।
প্রিয়ঙ্কর বাবুর দাবি, থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে কারও জ্বর ধরা পড়লে তাঁকে দ্রুত ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফিভার ক্লিনিকের চিকিৎসকরা তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অন্য কোনও চিকিৎসার জন্য জরুরী বিভাগ বা বহির্বিভাগে যাওয়ার অথবা ওয়ার্ডে যাওয়ার অনুমতি দিলে তবেই তাঁদের সেসব জায়গায় যেতে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এদিন রায়গঞ্জ মেডিকেলে কয়েকজনের শরীরে সাধারণ জ্বর ধরা পড়ে। তাঁদের ফিভার ক্লিনিকে চিকিৎসা করিয়ে হাসপাতালে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।