নয়াদিল্লি: শনিবার থেকে সমগ্র দেশে শুরু হতে চলেছে করোনা টিকাকরণ। আর তার আগেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ভুল তথ্য। উঠছে প্রশ্ন, ছড়াচ্ছে গুজব। এই পরিস্থিতিতে এবার টিকা সংক্রান্ত সংশয় দূর করতে উদ্যোগী হলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
কয়েকদিন থেকেই প্রশ্ন উঠছিল করোনা ভাইরাসের টিকা নাকি বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সেই সকল প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী তাঁর টুইটারে জানান, করোনার টিকা পুরুষ বা মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। দয়া করে গুজব এবং ভুল তথ্যে কান দেবেন না।
There is no scientific evidence to suggest that #COVIDVaccine could cause infertility in either men or women. Kindly do not pay heed to such rumours or information from unverified sources.#StayInformedStaySafe @PMOIndia @MoHFW_INDIA pic.twitter.com/6ii2EFgpB0
— Dr Harsh Vardhan (@drharshvardhan) January 14, 2021
এছাড়া টিকা নিলে কোভিডে আক্রান্ত হতে হবে বলে যে গুজব ছড়িয়েছে সে ক্ষেত্রেও তিনি জানান, করোনা টিকা নিলে সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে জ্বর আসতে পারে। কিন্তু সেই জ্বর মানে করোনায় আক্রান্ত হওয়া নয়। অন্যান্য টিকা দিলেও যেমন অনেক ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, করোনা টিকার ক্ষেত্রেও তাই।
আগামীকাল করোনার টিকাকরণের ভার্চুয়াল সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই টিকাকরণ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র। সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিকেও। কারা এই টিকা নিতে পারবেন আর কারা নয়, সেই নির্দেশিকায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তবে প্রথমে টিকা দেওয়া হবে করোনা যোদ্ধাদের।
সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়া হবে। প্রসূতি বা যাঁরা প্রেগন্যান্সি নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত নন এবং যাঁরা শিশুদের স্তন্যপান করান এমন মহিলারা টিকা নিতে পারবেন না। দেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এই দুটি সংস্থার টিকা দেওয়া হচ্ছে। যে কোনও একটি সংস্থারই টিকা নিতে পারবেন। তবে টিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ একই সংস্থার নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি অন্য রোগের জন্য টিকা নিয়ে থাকেন, তা হলে সেই টিকার সঙ্গে করোনার টিকা নেওয়ার সময়ের ফারাক ১৪ দিন হতে হবে। এছাড়া, করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এমন ব্যক্তিরা সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ পর টিকা নিতে পারবেন। আবার যে করোনা রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ বাদে টিকা নিতে পারবেন। পাশাপাশি, যাঁরা কোনও রোগে আক্রান্ত বা হাসপাতালে ভর্তি তাঁরা সুস্থ হওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ বাদে টিকা নিতে পারবেন। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যে সব ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, যাঁরা কঠিন রোগে আক্রান্ত তা সে হৃদরোগ, স্নায়ু, বা ফুসফুসজনিত রোগ-এমন রোগীদের টিকা দেওয়া যেতে পারে।