রতুয়া: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল ৩ পঞ্চায়েত কর্মীকে। তাঁরা হলেন রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম রোজগার সহায়ক মানিক আলম, কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম রোজগার সহায়ক মহম্মদ রাহাত আনসারি ও মানিকচক ব্লকের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট চৈতালি মণ্ডল। এর পাশাপাশি বাহারাল ও কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক, সচিব ও এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি তাঁদের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ জেলাশাসকের কাছে জমা পড়ে। জেলাশাসকের নির্দেশে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী। তদন্ত চালান প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক। জানা গিয়েছে, তদন্তে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপরই জেলাশাসক ওই তিনজনকে বরখাস্ত করেন।
এদিকে ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মূর বক্তব্য, ‘গত ১২ বছর ধরেই তৃণমূল ১০০ দিনের কাজকে পার্টি ফান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই চুরির ভাগ পাচ্ছেন। প্রশাসনের একাংশের মদত ছাড়া এভাবে চুরি করা যায় না। প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশও এর সঙ্গে জড়িত। এর সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।’ তৃণমূলের রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরির বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের কথা বলছেন। কিন্তু তারপরও প্রশাসনের একাংশ সরকারি কাজকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করছে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুনঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিতে পুরস্কার পাচ্ছেন কবি বিজয় দে