চালসা: গ্রাম বাংলায় খেত থেকে সোনার ফসল কেটে অনেকেই বাড়িতে নিয়ে এসেছে। বাড়িতে নিয়ে এসে আঁটি থেকে ধান ঝাড়াই করার পর তা রাখা হয় সারাবছরের খাদ্যশস্য হিসাবে। ধান বাড়িতে মজুত করে রাখার জন্য দরকার হয় বাঁশের তৈরি ডুলির। এই সময়ই চাহিদা থাকে ডুলির। আর এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে পেটের টানে অধিক অর্থ উপার্জনের আশায় এবছরও ভিন রাজ্য থেকে এরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন ডুলি তৈরির কারিগরেরা। জোরকদমে চলছে ডুলি তৈরির কাজ। গত দু’বছর করোনার প্রকোপে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলেও এবছর কিছুটা আশাবাদী তাঁরা। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিহারের ছাপড়া জেলার মোথারামপুর এলাকা থেকে ডুলি তৈরির কারিগরেরা চালসায় এসেছেন। চালসার(Chalsa) মঙ্গলবাড়ি বাজারে ঘর ভাড়া করে চলছে ডুলি তৈরির কাজ। তবে ডুলি তৈরি হলেও সেভাবে বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। বেড়েছে ডুলি তৈরির বাঁশের দাম সহ খাদ্যদ্রব্যের।এবছর ব্যবসা ভালো হওয়ার আশায় রয়েছেন তাঁরা। ডুলি তৈরির কারিগর রাজকুমার মাহাতো, টুনটুন মাহাতোরা জানান, এবছর নভেম্বর মাসের শুরুতে এসেছেন তাঁরা। জানুয়ারির শেষের দিকে চলে যাবেন। তবে ডুলি তৈরি হলেও এখনও সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। তার ওপরে বেড়েছে বাঁশের দাম। গতবছর গোটা প্রতি বাঁশের দাম ছিল ১০০-১৩০ টাকা। সেই দাম এখন বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। ছোট, মাঝারি ও বড়ো ডুলি তৈরি করা হচ্ছে। দাম রাখা হয়েছে ৬০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে দিনরাত চলছে ডুলি তৈরির কাজ।
আরও পড়ুনঃ Dhupguri | সাতসকালে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে দাপাল বাইসন