উত্তরবঙ্গ ব্যুরোঃ করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন জারি করার পরও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সর্বত্র ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনিক কর্তারা সতর্কবার্তা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তবুও হুঁশ নেই অনেকেরই। লকডাউনের বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পরও বাজারগুলিতে দেখা মিলছে মানুষের ঢল। ব্যাংকগুলির সামনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই দীর্ঘ লাইন জমাচ্ছেন অনেকেই। বুধবারও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকগুলির সামনে দেখা মিলল অসচেতনতার একই চিত্র।
বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুরে একটি ব্যাংকের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা যায়। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী এক মিটার তো দূরের কথা এক ইঞ্চিও দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রচুর মানুষ। বেশিরভাগেরই মুখে নেই মাস্ক। যা এলাকার সচেতন নাগরিকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ‘এভাবে চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণ আটকানো মুশকিল হয়ে যাবে। কাজেই এর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করা দরকার প্রশাসনের। তা না হলে প্রশাসনের সব চেষ্টাই বৃথা হয়ে যাবে।’ যদিও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে গ্রাহকদের বারবার সতর্ক করছে তারা। কিন্তু বিষয়টিকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না গ্রাহকরা।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মালদা জেলার কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকের বাঙ্গীটোলা অঞ্চলে একটি ব্যাংকের সামনে ভিড় দেখা গেল গ্রাহকদের। জনধন যোজনা ও গ্যাসের টাকা তুলতে প্রতিদিনই ব্যাংকের সামনে প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন। এর অনেকেই টাকা পেলেও থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে। সচেতনতার বার্তা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত মানুষের অসচেতনতার ছবি ধরা পড়ছে পথেঘাটে। যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলছে।