জিষ্ণু চক্রবর্তী, গয়েরকাটা, ১৯ মার্চ : রাজ্যের দেওয়া ১০০ দিনের টাকা থেকে কাটমানির অভিযোগ যেন থামতেই চাইছে না। গয়েরকাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে এবারে অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে উপভোক্তাদের দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এক মহিলা বানারহাট থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনাটিকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে অভিযুক্তদের দাবি। তাঁরাও পুলিশকে সবকিছু জানিয়েছেন। ফোন না তোলায় তৃণমূলের জলপাইগুড়ির সভানেত্রী মহুয়া গোপের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে অবশ্য দলের বানারহাট ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং জানিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ দু’পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখছে।
গয়েরকাটার বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা জয়শ্রী মহন্তের অভিযোগ, ‘কিছুদিন আগে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের কাজের দেড় হাজার টাকা ঢোকে। শনিবার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মনলতা রায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওঁর স্বামী প্রদীপ রায় ও শাশুড়ি জটিলা রায় আমার ও আমার স্বামীর রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে ওই টাকার কাটমানি দাবি করে আমাদের হুমকি দেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার স্বামীকে খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোরও হুমকি দেওয়া হয়।’ জয়শ্রীর স্বামী তপন মহন্ত বলেন, ‘পাড়ার আরও কয়েকজনের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে।’ এলাকাবাসী অঞ্জনা সরকারের অভিযোগ, ‘ প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের শাশুড়ি আমাদের দোকানে গিয়ে আমার মাকে ১০০ দিনের টাকা তুলে ওঁদের বাড়িতে দিয়ে আসার হুমকি দেন।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রদীপের দাবি, বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত তপন ও তাঁর স্ত্রী মিলে ভোটের আগে তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েকজনকে উসকে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। গোটা বিষয়টি আমি ইতিমধ্যেই থানায় জানিয়েছি।’ জটিলা বললেন, ‘ওঁদের প্রাপ্য টাকা আমাদের ছেলে নিজের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে নিয়েছিল বলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপন প্রচার করেছিল। ওই টাকা যদি আমার ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেই থাকে তবে তা ওঁদের অ্যাকাউন্টে কীভাবে ঢুকল সেটাই রাস্তায় দেখা হওয়ায় আমি ওঁদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কাউকে খুনের হুমকি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’