ম্যাঞ্চেস্টার : উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে।
বাংলা জানলে এই প্রবাদটাই বলতেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের স্কটিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনে। ২০১৮-১৯ মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের পর লিওনেল মেসির জার্সি চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম লেগের ম্যাচে ট্যাকেল নিয়ে হওয়া ভুল বোঝাবুঝির জেরে জার্সি দিতে রাজি হননি বার্সেলোনার এই তারকা ফুটবলার।
দ্বিতীয় লেগের শেষে মেসির স্বদেশি গোলরক্ষক সের্জিও রোমেরোর কাছে জার্সি এনে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন স্কট। রোমেরো কথা বলে এসে স্কটকে বলেন, লিও ভাবছে প্রথম লেগে তোমার কনুইয়ে আঘাতে ওর নাক ফেটেছে। তাই ও জার্সি বদল করতে রাজি নয়। বাস্তবে প্রথম লেগে ম্যাঞ্চেস্টারের ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিংয়ের আঘাতে রক্ত ঝরেছিল মেসির।
এ প্রসঙ্গে স্কট বলেছেন, আমি তখনই রোমেরোকে বলেছিলাম, ওটা ক্রিস ছিল। তুমি সেটা গিয়ে মেসিকে বোঝাও। ওর জার্সি আমার শোয়ার ঘরে রাখতে চাই। এখন অবশ্য মেসি জানে যে, আমি ওকে আঘাত করিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেদিন মেসির জার্সি পেয়েছিলেন স্কট। তবে তা পেতে বেশ খাটতে হয়েছিল তাঁকে।
অন্যদিকে, প্রথম সাক্ষাতে মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে রাজি হননি স্প্যানিশ উইঙ্গার ড্যানি ওলমো। ২০০৭ সালে ওলমোর স্থানীয় ক্লাব ক্যাসেলডেফেলসে এসেছিলেন মেসি। ওলমোর বাবা ছিলেন ওই ক্লাবের ফুটবল কোচ। ততদিনে বিশ্ব ফুটবলে এই আর্জেন্টাইন বেশ পরিচিত নাম হয়ে গিয়েছেন। বছর আটেকের ওলমো সেসময় ক্লাবে বল নিয়ে খেলতে ব্যস্ত ছিলেন।
তার মাঝেই সকলে এসে তাকে জোর করে মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে নিয়ে যান। কিন্তু মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে একেবারেই রাজি ছিলেন না ওলমো। তাঁর কথায়, সেসময় আমি বল নিয়ে খেলছিলাম। ফলে খেলা ছেড়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছাই আমার ছিল না। কিন্তু অন্যদের চাপে আমি ছবি তুলতে যাই। কোনওরকমে ছবিটা তুলেই ফের খেলতে চলে আসি।
সেইদিন কেন মেসি ক্লাবে এসেছিলেন, স্পষ্ট মনে নেই ওলমোর। তবে বয়স বাড়লে বুঝেছিলেন, সেদিন কত বড় সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এখন সেই ছবি লা মাসিয়া অ্যাকাডেমির প্রাক্তনী ওলমোর ঘরে ফ্রেমে বাঁধানো অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে ওলমো আরবি লিপজিগের ফুটবলার।