মেলবোর্ন : কেরিয়ারে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হার মেনেছিলেন নোভাক জকোভিচের কাছে। বুধবার ৫ সেটের থ্রিলার জিতে সেমিফাইনালে উঠে সেই জোকারের কথাই শোনা গেল ড্যানিল মেদভেদেভের মুখে।
টিকা-বিতর্কে অস্ট্রেলিয়া থেকে একপ্রকার তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নোভ্যাক্স নোভাককে। অবশ্য প্রতিযোগিতায় না থেকেও রয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। বুধবার কানাডার ফেলিক্স অউগের-আলিয়াসিমের বিরুদ্ধে যেভাবে ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিট লড়ে ড্যানিল ম্যাচ বাঁচালেন, তা রূপকথার থেকে কম নয়। প্রথম দুই সেট ৭-৬(৪), ৬-৩ ব্যবধানে জিতে অ্যাডভান্টেজ পেয়েছিলেন কানাডার ফেলিক্স। তৃতীয় সেটেও একসময় পৌঁছে গিয়েছিলেন ম্যাচ পয়েন্টে। সেখান থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সেটটি টাইব্রেকারে টেনে নিয়ে গেলেন বিশ্বের ২ নম্বর ড্যানিল। জিতলেন ৭-৬(২)। পরের দুই সেট ৭-৫, ৬-৪ পয়েন্টে জিতে টানা দ্বিতীয়বারের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে পা রাখলেন এই রাশিয়ান তারকা।
গত বছর মরশুমের প্রথম মেজরের মতো শেষটিতেও নোভাকের বিরুদ্ধে খেলেছেন ড্যানিল। ফলে প্রতিপক্ষ হিসেবে জোকার বেশ পরিচিত তাঁর। সেই অভিজ্ঞতাই তাঁকে ম্যাচ ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে বলে শেষচারে পা রেখে দাবি করলেন এই রাশিয়ান। ড্যানিল বলেন, দ্বিতীয় সেট হারের পর আমি নিজেকে প্রশ্ন করি নোভাক এই পরিস্থিতিতে কী করত? আসলে সেসময় আমি ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। উল্টোদিকে ফেলিক্স দুরন্ত ফর্মে ছিল। তবে ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকারের সময় নোভাক-প্রসঙ্গ উঠতেই স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের ব্যঙ্গের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। সেমিতে ড্যানিলের প্রতিপক্ষ স্টেফানোস সিসিপাস এদিন ৬-৩, ৬-৪, ৬-২ সেটে জিতলেন জানিক সিনারের বিরুদ্ধে।
চলতি অজি ওপেনে অঘটনের রানী ম্যাডিসন কিসের অভিযান শেষ করলেন মেয়েছের সিঙ্গলসে শীর্ষবাঁছাই অ্যাশলে বার্টি। বৃহস্পতিবার ৬-১, ৬-৩ সেটে সেমিফাইনালে জিততে মাত্র ৬২ মিনিট সময় নিলেন বার্টি। ম্যাচ শেষে বললেন, দারুণ লাগছে। দেশের মাটিতে নিজের সেরাটা দিতে পেরে আমি খুশি। এই জয়ের ফলে আরও কিছুদিন বিশ্বের এক নম্বরে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন বার্টি। ফাইনালে হারলেও শীর্ষস্থান হারাতে হবে না তাঁকে। খেতাব ও বার্টির মাঝে এখন শুধুই ড্যানিয়েলা কলিন্স। এদিন বিশ্বের ৯ নম্বর ইগা সোয়াটেককে ৬-৪, ৬-১ সেটে হারিয়ে অঘটন ঘটালেন ৩০ নম্বরে থাকা এই মার্কিন।
আরো পড়ুন :সমালোচকদের বিঁধে অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন জকোভিচ