দার্জিলিং: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা হোক বা পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সবদিকেই সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে পুলিশের। এবার সামনে এল পুলিশের মানবিক মুখ। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে কনকনে ঠান্ডা-সমস্ত প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে রেখে অন্তঃসত্ত্বাকে রক্ত দিতে হাসপাতালে ছুটলেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বলকার। এজন্য রাতের বেলা গাড়ি চালিয়ে তিনি পৌঁছে যান সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে। যদিও প্রয়োজন মিটে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে রক্ত দিতে হয়নি। তবে অন্তঃসত্ত্বাকে রক্ত দিতে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন পুলিশ সুপার, তা অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য।
জানা গিয়েছে, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে দার্জিলিংয়ের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন এক মহিলা। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রসবের জন্য তাঁর অস্ত্রোপচার চলছিল। অস্ত্রোপচারে অন্তঃসত্ত্বার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। সেকারণে ওই মহিলার রক্তের প্রয়োজন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। শুরু হয় রক্তের খোঁজ। এদিকে, মহিলার রক্তের গ্রুপ বি-নেগেটিভ। পাহাড়ি এলাকায় এই গ্রুপের রক্তদাতা চট করে খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। ব্লাড ব্যাংকেও তা সব সময় মজুত থাকে না। পরিস্থিতি আঁচ করে নার্সিংহোমের মালিক দাওয়া ভুটিয়া রাতেই দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বলকারকে ফোন করেন ও দ্রুত রক্তের প্রয়োজনের কথা জানান। পুলিশ সুপার তখন নার্সিংহোমের মালিককে জানান, তাঁর নিজেরই রক্তের গ্রুপ বি-নেগেটিভ। এরপর আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করে জেলা পুলিশ আধিকারিক গাড়ি চালিয়ে রক্ত দিতে পৌঁছে যান দার্জিলিং সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে। ঠিক সেসময় নার্সিংহোম মালিক দাওয়া ভুটিয়া তাঁকে ফোন করে জানান, রক্তের প্রয়োজন মিটে গিয়েছে। অস্ত্রোপচার সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রক্ত দিতে না হলেও হাড় হিম করা ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যেভাবে অন্তঃসত্ত্বার জন্য রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বলকার, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
আরো পড়ুন : এবার বড়োসড়ো বিতর্কে জড়ালেন এনসিপি সাংসদ