ঘোকসাডাঙ্গা: মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের লতাপাতার কুশিয়ারবাড়িতে বিবাহিত যুবক ফইজুল হকের খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়। শনিবার রাতে কড়া পুলিশি পাহারায় দেহ সৎকার করা হয়। গত ২০ অক্টোবর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন ফইজুল। এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। তদন্তে নেমে পুলিশ আটদিন পর বুড়ি তোর্ষার নদীর চর থেকে ফইজুলের দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এক নাবালিকা সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে যে, তারা ওই যুবককে খুন করে বুড়ি তোর্ষার নদীর চরে পুঁতে দিয়েছিল। যুবকের পরিবারের তরফে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা সহিদার রহমানের কথায়, ‘ঘোকসাডাঙ্গা সহ মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক প্রত্যন্ত এলাকা বলেই পরিচিত। এখানে নাবালিকা ও তার পরিবার সুপারি কিলার এনে এভাবে এক যুবককে মেরে ফেলল। আগে শহরে এসব ঘটনা শুনতাম। এই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটবে, তা ভাবতেই পারছি না। ঘটনায় জড়িতরা উপযুক্ত শাস্তি পাক এটাই চাই।’ সিপিএম নেতা হবিবর রহমান বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’ ফইজুল খুনের ঘটনায় ধৃতদের দশদিনের হেপাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।