রায়গঞ্জ: রাজ্যে বুধবার থেকে বিনামূল্যে র্যাশন বিলির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে কিছুটা আশার আলো দেখেছিলেন দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলি। অন্ততপক্ষে ঘরবন্দি দশায় কিছুদিনের জন্য হলেও রসদ জোগাতে পারবেন তারা। দরিদ্র পরিবারগুলিকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করে বিনামূল্যে র্যাশন সামগ্রী দেওয়া শুরুও হয়েছে। তবে রায়গঞ্জের কিছু এলাকায় নির্দেশিকা থাকা সত্বেও র্যাশন দোকান না খোলায় বিনামূল্যে র্যাশন সামগ্রী পেলেন না গ্রাহকেরা।
মাড়াইকুড়া অঞ্চলের পদ্মপুকুর গ্রামের র্যাশন ডিলার সকালে দোকানই খোলেননি। এই নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আলতাব হোসেন ওই গ্রামে গেলে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ উগরে দেন। ডিলারের প্রতিনিধি আমিনুল হকের সঙ্গে কথা বলে দোকান খোলার নির্দেশ দেন। কিন্ত র্যাশন না আসায় এদিন বিকেল থেকে তিনি গ্রাহকদের মালপত্র দেওয়ার আশ্বাস দিলে ক্ষোভ কিছুটা মেটে। র্যাশন ডিলার জানান, ‘সব মাল পাইনি বলে আজ দিতে পারিনি। চাল ও আটা এসেছে কিন্ত গম আসেনি।বিকেলের মধ্যে গম চলে আসলে গ্রামবাসীদের দেওয়া শুরু করব। সারা মাসের মাল দিয়ে দেব।’ বিনামূল্যে র্যাশন সামগ্রী পাবেন এই আশায় বুধবার ভোর থেকে র্যাশন দোকানের সামনে থলে হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরকেএসওয়াই-২ ক্যাটাগরির সদস্যরা। কিন্ত বিনামূল্যে তারা র্যাশন না পাওয়ায় কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায়। পরে জানা যায়, ছোটো কার্ড ছাড়া বিনামূল্যে র্যাশন পাওয়া যাবে না। বড় কার্ড যাদের আছে তাদের টাকা দিয়ে র্যাশন কিনতে হবে।
অন্যদিকে, দেবীনগর কসবার র্যাশন ডিলার মিতালি প্রামাণিকের দোকানে গিয়ে দেখা গেল চারটি ক্যাটাগরির সামগ্রী নেই। শুধু দুটি ক্যাটাগরির সামগ্রী রয়েছে। র্যাশন ডিলারের প্রতিনিধি কুশল প্রামাণিক জানান, যানবাহনের সমস্যার জন্য মাল তোলা সম্ভব হয়নি। কসবার ডিলার গোপাল চন্দ্র সাহার র্যাশন দোকানে গিয়ে দেখা গেল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রাহকেরা মালপত্র নিচ্ছেন না। অনেকেই জানেনই না তারা কি কি মালপত্র পাবেন। পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আলতাব হোসেন গ্রাহকদের সচেতন করে তারা কি কি মালপত্র বিনামূল্যে পাবেন তা জানান। আলতাববাবু বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাশন দোকানগুলি ভিজিট করা শুরু করি। সবাইকে সরকারি নির্দেশকা মেনে মালপত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।’ বিডিও রাজু লামা বলেন, ‘সরকারি নির্দেশকা মেনে আজ থেকে মালপত্র দিতে হবে। কেউ মালপত্র তুলতে পারেনি এমন অভিযোগ আসেনি।’