চ্যাংরাবান্ধা: পুণ্য অর্জনের ইচ্ছেই কাল হল শীতলকুচির ১০ পুণ্যার্থীর। রবিবার রাতে জল্পেশ যাওয়ার পথে গাড়িতে জেনারেটরের শর্ট সার্কিট থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কোন গাফিলতিতে অকালে ঝরে গেল এতগুলো প্রাণ। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। দুর্ঘটনায় জখম পুণ্যার্থীরা জানিয়েছেন, একটি পিকআপ ভ্যানে জেনারেটর উঠিয়ে, ডিজে বসিয়ে তারা জল্পেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। বৃষ্টির জলে জেনারেটর ও ডিজে মেশিন ভিজতে থাকে। যার থেকেই শর্ট সার্কিট হয় বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে গাড়িতে এমনিতেই ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ। তার ওপরে জেনারেটর সেট গাড়িতে রাখা হয়েছে যেটা অত্যন্ত বিপদজনক। এছাড়াও গাড়িতে ডিজের অপারেটর থাকলেও জেনারেটর সেটের কোনও অপারেটর ছিলেন না। যাঁরা গাড়িতে ছিলেন তাঁরাও জেনারেটর পরিচালনায় দক্ষ নন। ফলে জলে ভিজে কি বিপদ হতে পারে তা নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না গাড়িতে সওয়ার যাত্রীদের। যখন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রচন্ড কাঁপুনি দিয়ে ১০ জন নিথর হয়ে পড়েন, তখন সম্বিত ফেরে বাকিদের। বন্ধ করে দেওয়া হয় জেনারেটর ও ডিজে। চালক দ্রুত গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান। কিন্তু ততক্ষণে বিপর্যয় যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে ডিজে বাজিয়ে জেনারেটর বসিয়ে গাড়ি এতটা পথ চলে এল, তবু পুলিশের নজর পড়ল না কেন? যেভাবে শ্রাবণ মাসে শিব তীর্থগুলোতে জল ঢালতে যাওয়ার নামে উশৃঙ্খলতা বাড়ছে সেদিকে কারো নজর নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই জানাচ্ছেন জল্পেশ মন্দিরে জল ঢালতে যাওয়ার নামে দিনের পর দিন মন্দির চত্বরে ডিজের দাপট বেড়েই চলেছে। যাতে কারও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। কোনও বড় ঘটনা ঘটলেই প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসে তারপর পরিস্থিতি যে কে সেই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন : ১০ পুণ্যার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া শীতলকুচিতে