রায়গঞ্জ: দিল্লি ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিভার্সিটি থেকে গোল্ড মেডেল পেল রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা দেবরাজ মুখোপাধ্যায়। স্নাতকোত্তরে জনস্বাস্থ্য বিভাগে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হয়েছে সে। দিল্লি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগে পাঠরত সমস্ত এমবিবিএস ও বিডিএসদের পেছনে ফেলে ফার্মাসিস্টের ছাত্র হিসেবে দেবরাজ প্রথম হওয়ায় স্বভাবতই খুশি সকলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেবরাজের হাতে গোল্ড মেডেল তুলে দেন দিল্লি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মনীষ সিসোডিয়া, দিল্লি সরকারের প্রতিনিধি অনিল বাইজাল, ভারত সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোলার ভিজি সোমানি সহ অন্যান্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিল দেবরাজ। এর আগে সে উত্তরাখন্ড টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে বি ফার্মা নিয়ে গ্র্যাজুয়েশনে প্রথম স্থান অধিকার করে। সেখান থেকে দিল্লি ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিভার্সিটিতে জনস্বাস্থ্য বিভাগে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয় সে।
রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে দেবরাজ। ২০১৩ সালে মাধ্যমিক পাশ করার পর সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হয়। ২০১৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর উত্তরাখন্ড টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে বি ফার্মা নিয়ে ভর্তি হয় সে। মেধাবী দেবরাজের প্রথম থেকেই ইচ্ছে ছিল বায়ু দূষণ ও জনস্বাস্থ্য নিয়ে পড়াশোনা করার। লন্ডনে বা ইউরোপের কোনও একটি দেশে বায়ু দূষণে জনস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব নিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে রায়গঞ্জে ফিরে কাজ শুরু করতে চায় সে। ইতিমধ্যে বায়ু দূষণ ও করোনা ভাইরাসের উপর কয়েকটি পেপার লিখেছে এবং প্রকাশিত হয়েছে।
দেবরাজের এই সাফল্যে অত্যন্ত খুশি রায়গঞ্জের পুরপিতা সন্দীপ বিশ্বাস, খুশি রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা। পুরপিতা সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, দেবরাজের আরও সাফল্য কামনা করি। আগামীদিনে রায়গঞ্জের মানুষের স্বার্থে কাজ করবে এটাই আশা রাখি। রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক কালীচরণ সাহা জানান, দেবরাজ আমাদের গর্ব। আমাদের মতো ছোট একটা শহরের ছেলে দিল্লিতে গিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়ে স্বর্ণপদক পাবে তা ভাবাই যায় না। তার এতবড় সাফল্যে আমরা ভীষণ খুশি। আগামীদিনে তার আরও সাফল্য কামনা করি।
আরও পড়ুন : রায়গঞ্জের স্কুলে করোনার থাবা, বন্ধ ভর্তি প্রক্রিয়া