চোপড়া : শারীরিকভাবে ৭০ শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম বছর পঁয়ত্রিশের মাসুদ আলম। বাড়ি চোপড়া ব্লকের ভৈষপিটা এলাকার চোপড়া উলটো গ্রামে। ছয় ভাইবোন সহ বাবা-মাকে নিয়ে অভাবের সংসার তাঁর। মাধ্যমিক পাশের পর থেকে চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে কাছে দরবারও করেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। অভাবের দায়ে আপাতত গ্রামের হাটে শাকপাতা বিক্রি করতে শুরু করেছেন মাসুদ।
ইসলামপুর কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর ২০১৯ সালে দূরশিক্ষার মাধ্যমে এমএ পাশ করেন মাসুদ। একদশক ধরে চাকরির আশায় চেষ্টা জারি রেখেছেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসছেন। নিয়মিত খোঁজখবরও রাখছেন। শারীরিক সমস্যা থাকায় মতো ঘর-গৃহস্থালির কাজ কিংবা ভারী ধরনের কোনও কাজ করতে পারেন না মাসুদ। বাধ্য হয়ে পড়াশোনার খরচ চালাতে স্থানীয় ভৈষপিটা হাটে শাকপাতা বিক্রি করতে শুরু করেছেন। মাসুদ বলেন, চাকরির জন্য সবাইকে বলা হয়েছে। তিনবছর আগে চোপড়ার কালাগছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন। তাঁর কাছে চাকরির আবেদন করেছিলাম। তিনি ডিভিশনাল কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলেন। তাঁর কাছে যেতে না পেরে পরে জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানিয়েছিলাম। জেলা শাসক স্থানীয় বিডিওকে দুবছর আগে একটি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই। আশায় আশায় বিভিন্ন দপ্তরে ছুটেই চলেছি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কিছুই জানতে পারিনি। প্রতিবেশী মনসুর আলম বলেন এলাকার সবাই চাইছেন মাসুদের একটা সরকারি চাকরি হোক। কারণ একদিকে দুঃস্থ পরিবার। তারপর সে ভারী কাজ করতে পারেন না। বিডিও জুনেইদ আহমেদ অবশ্য বলেন, এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে মানবিক প্রকল্পের মাধ্যমে মাসুদ আলমের মতো বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের চাকরির সুযোগ আছে। সেই প্রকল্পে মাসুদের জন্য কাজের সুযোগ করে দেওয়া যায় কিনা দেখব।