কলকাতা : করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের নিউমোনিয়ায় মৃত বলে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় সেন্ট্রাল এক্সপার্ট কমিটি গঠনের দাবি, এছাড়া পিপিই, গ্লাভস, হ্যান্ড, স্যানিটাইজার ও মাস্কের অভাব সহ ১২ দফা দাবি নিয়ে শনিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায় সহ বিজেপির এক প্রতিনিধিদল।
এদিন রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, ’রাজ্যজুড়ে ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি চলছে। কোয়ারান্টিন থেকে আক্রান্ত রোগীরা পালাচ্ছে। ফলে করোনা সংক্রমণ রাজ্যজুড়ে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। অথচ রাজ্যে মাত্র ২ হাজার মানুষের করোনা টেস্ট হয়েছে।’ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার গাফিলতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের গাফিলতিতেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের নার্স ও হাওড়া সদর হাসপাতালে সুপার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দিলীপবাবুর আরও অভিযোগ তোলেন যে, রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্ত তথ্যেই ধোঁয়াশা রয়েছে। কতজনের পজিটিভ এবং কতজনের নেগেটিভ সে তথ্য রাজ্য সরকারের কাছে নেই। কেন্দ্র বলছে এ রাজ্যে ১১৭ জন আক্রান্ত, অথচ রাজ্য বলছে ৮৯। রাজ্যের আমলারা বলছেন, এ রাজ্যে মারা গিয়েছেন ৭ জন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ৩ জন। কিট নিয়ে সমস্যার কথা বলে আক্রান্তের সোয়াব টেস্ট হচ্ছে না।
সোয়াব টেস্টের কিট নিয়ে যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে তা নস্যাৎ করে দেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ’রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর কিট পড়ে রয়েছে। সেগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে না।’ এই রাজ্যে নিজামুদ্দিন ফেরত কতজন আছেন এবং তাঁরা কোথায় আছেন তার কোনো তথ্য রাজ্য সরকারের কাছে নেই বলে অভিযোগ জানান তিনি। রেশন ব্যবস্থা নিয়ে দলবাজি চলছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি জানান, ডিলাররা জানিয়েছে তৃণমূলের ছোটো বড়ো নেতারা হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মালপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও ত্রাণ বিলি করতে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।