বুনিয়াদপুর: দুর্গাপুজোর নিয়মগুলির মধ্যে অন্যতম হল কুমারীপুজো। গায়ে লাল বেনারসি শাড়ি, কপালে চন্দন, হাতে পদ্মফুল আর ছোট্ট মুখে পরিতৃপ্তির হাসি। এইভাবেই ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েটি দেবী রূপে সেজে ওঠে। কথিত আছে কোলাসুরের হাত থেকে দেবতাদের রক্ষা করতে কুমারী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী দুর্গা।
এবারেও বুনিয়াদপুরে (Buniadpur) কুণ্ডুবাড়িতে পারিবারিক দুর্গাপুজোয় পূজিতা হবে দিশিতা মজুমদার। বয়স তার সাড়ে চার বছর। স্থানীয় বেসরকারি স্কুলের নার্সারি ওয়ান এর ছাত্রী। শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডে বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে তার বাড়ি। বাবা সঞ্জীব মজুমদার ব্যবসায়ী। মা কাকলি মজুমদার গৃহবধূ। গত বছর কুণ্ডুবাড়ির দুর্গাপুজোয় সে প্রথম কুমারীরূপে পূজিতা হয়। এবারেও তাকে কুমারী রূপে পুজো করা হবে রতন কুণ্ডুর বাড়িতে।
রতনবাবু বুনিয়াদপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি কৃষি ফার্মের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বর্তমানে সমবায় বিভাগীয় স্টোরে কর্মরত। স্ত্রী দিপালী দেবী সহ তাঁদের দুই মেয়ে। ১২ বছর ধরে কুণ্ডুবাবুর বাড়িতে নবমীর দিন কুমারীপুজো হয়ে আসছে। এবারে ১৩ তম বর্ষ। স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি দুর্গাপুজোর সঙ্গে কুমারীপুজো শুরু করেন। প্রতিবছর নবমী পুজো শেষে কুমারীপুজো হয়। স্থানীয় মৃৎশিল্পী গৌরাঙ্গ মহন্ত প্রতিবছর প্রতিমা তৈরি করেন।
নবমীতে কুমারীপুজো দেখতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এ প্রসঙ্গে রতনবাবুর স্ত্রী দীপালি দেবীর কথায়, এবারেও কুমারীপুজোর জন্য দিশিতাকে নির্বাচন করা হয়েছে। এত কম বয়সে কুমারীপুজোয় অংশগ্রহণ নিয়ে অনেকের সংশয় ছিল। গত বছর ধৈর্য নিয়ে পুজোয় অংশগ্রহণ করায় এবারও তাকে ফের কুমারী রূপে পুজো করা হবে। দিশিতার বাবা সঞ্জীব মজুমদার জানিয়েছেন, এবারও কুমারীপুজোর জন্য দিশিতাকে নির্বাচন করায় খুশি তিনি।