রায়গঞ্জ: রোগীর আত্মীয়কে চুরির দায়ে ফাঁসাতে গিয়ে বিপাকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের হসপিটাল মোড় এলাকায় ওই চিকিৎসকের চেম্বারে। রায়গঞ্জ থানার গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের এলেঙ্গিয়ার বাসিন্দা হাসনারা খাতুন সম্প্রতি শহরের এক নার্সিংহোমে চিকিৎসক রাকেশ গোপের অধীনে সন্তানের জন্ম দেন। বাড়ি ফিরে ফের পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমে ভর্তি করে দেখা যায় রোগীনির পেটের ভেতরে গজ ও তুলো রয়েছে। ফের গাইনি চিকিৎসক রাকেশ গোপ অপারেশন করে সেগুলি বের করে। দ্বিতীয় অপারেশনের পর থেকেই ক্ষতস্থানে ইনফেকশন হতে শুরু করে। বিষয়টি ফোনে চিকিৎসককে জানালে ওই রোগিনীর ভাই ইন্দাদুল হককে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান রাকেশ গোপ।
সেখানে চিকিৎসক ও তার পাঁচ সহযোগী মিলে রোগীনির ভাইকে বেধরড়ক মারধর শুরু করেন। এমনকি পুলিশকে ফোন করে ওই চিকিৎসক জানান তাঁর মোবাইল চুরি হয়েছে তিনি চোরকে আটকে রেখেছেন। রায়গঞ্জ থানার আইসি সৌরভ সেন ইন্দাদুল হককে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল রহস্য উদঘাটিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে থানায় ডাকা হলে তিনি আর থানায় আসেননি। এরপর রোগীর পরিজনদের তরফে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগে দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত গাইনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জখম যুবক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শল্য বিভাগে চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, সমস্ত ঘটনা সিসি ক্যামেরায় আবদ্ধ রয়েছে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জেলাশাসক মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে দাবি জখমের বোন হাসেন বালা খাতুনের।পুলিশ সুপার মহন্মদ সানা আকতার জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি ভোগান্তির শিকার রোগীর পরিজনেরা। রোগীর আত্মীয়রা ওই চিকিৎসকের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন। একজন চিকিৎসকের এহেন আচরণে অস্বস্তিতে পড়েছেন অন্যান্য চিকিৎসকরাও।