ডিজিটাল ডেস্ক : সতর্ক করে দিয়েছেন বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে জেরিয়েরিক বিভাগের অধ্যাপক ড. থমাস পার্লস। তিনি গবেষণালব্ধ তথ্য উপস্থাপন করে উল্লেখ করেছেন, বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া থামিয়ে দেওয়া বা বিলম্বিত করার দাবির কোনও যৌক্তিকতা নেই এবং এটা স্রেফ হাতুড়ে চিকিৎসা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বয়স ধরে রাখা বা মানুষকে তারুণ্যদীপ্ত রাখার প্রচার সম্পর্কে বলেন, এটা এমন একটা দাবি যা কেবল একটি রকেটশিপ তৈরি করে তাতে মানুষকে প্লুটো গ্রহে ভ্রমণ করানোর প্রতিশ্রুতির মতো হাস্যকর।
এই গবেষক, যাদের বয়স শতবর্ষ অতিক্রান্ত হয়েছে এবং তারা কীভাবে অপেক্ষাকৃত কম স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে এতটা বছর পার করলেন অথবা স্বাস্থ্য সমস্যা কীভাবে মোকাবিলা করেছেন তার ওপর গবেষণা করেছেন। ড. পার্লস মনে করেন, অনেক আমেরিকান নাগরিক তাদের বয়স ধরে রাখার জন্য অলৌকিক কিছু আশা করে যা তাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এসব ওষুধ বা সাপ্লিমেন্টের আদৌ কোনও কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা নেই। এ বিষয়ে তিনি শুধু ভোক্তাদের দায়ী করেননি, যুক্তরাষ্ট্রের ডায়েরি সাপ্লিমেন্ট হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন অ্যাক্ট ১৯৯৪-কেও দায়ী করছেন। এই অ্যাক্টের ফলে এন্টি এজিং ব্যবসায়ীদের ব্যবসার দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
টেসটেস্টেরন ও গ্রোথ হরমোন সহ অনিয়ন্ত্রিত এন্টি এজিং সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধ ব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের ব্যয়বহুল হরমোন, ডায়েরি সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধ বাস্তবে বয়স বুড়িয়ে যাবার থেকে রক্ষা করতে পারে না।