হবিবপুর: পুকুর খনন করতে গিয়ে কোদালের কোপে বেড়িয়ে এল লক্ষ্মীনারায়ণের প্রাচীন মূর্তি। মূর্তিটি উদ্ধারের পরেই পুজো শুরু করে দেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর ব্লকের কানতুর্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের লোনসা এলাকায়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মূর্তিটি শীঘ্রই সরকারি সংগ্রহশালায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
হবিবপুর ব্লকের কানতুর্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের লোনসা এলাকায় একশো দিনের মাটি কাটার প্রকল্পের কাজ চলছিল। লোনসা গ্রামে অধিকাংশই মাহালী সম্প্রদায়ের বসবাস। সেখানেই সঞ্জয় মাহালী নামে এক ব্যক্তির জমিতে মাটি কাটার সময় কোদালে হঠাৎই কিছু আটকে যাওয়ার আওয়াজ হয়। সেই আওয়াজে প্রথমে আমল দেননি কেউ। কিন্তু পরে কোদাল টানলে বেরিয়ে আসে একটি পাথরের মূর্তির কিছু অংশ। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায় কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে। তড়িঘড়ি হাত দিয়ে মাটি সরাতেই বেড়িয়ে আসে একটি পূর্ণাঙ্গ মূর্তি। মাটি পরিস্কার করলে দেখা যায় সেটি একটি একফুট উচ্চতার আনুমানিক আড়াই কেজি ওজনের নিখুঁত লক্ষ্মীনারায়ণের মূর্তি।
এলাকার প্রবীণ প্রাক্তন শিক্ষক নীরেন বর্মন জানান, মূর্তিটি পাল যুগের হতে পারে। কারণ এখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই জগজীবনপুরে উদ্ধার হওয়া পাল যুগের বৌদ্ধ মহাবিহারের কথা কারও অজানা নয়। সেদিক থেকে মূর্তিটি নবম শতাব্দী থেকে একাদশ শতাব্দীর হতে পারে বলে ধারণা তাঁর।
হবিবপুরের বিডিও সুপ্রতীক সাহা বলেন, ‘পাথরের লক্ষ্মীনারায়ণ মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। হবিবপুর পুলিশ প্রশাসন মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। নিয়ম মেনে মূর্তিটি সরকারি সংগ্রহশালায় পাঠানো হবে।‘