ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষ যতই উন্নত হোক আর নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করুক না কেনো আজও সে প্রকৃতির হাতের পুতুল। প্রকৃতির খেলা বোঝা তার পক্ষে সম্ভব না। সম্প্রতি প্রকৃতির এমনই এক আশ্চর্য খেলা বিজ্ঞানীদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে আর তার নাম হল রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বাটাগাইকা ক্রেটার। এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ২৮২-ফুট গভীর একটি গর্ত। স্থানীয়দের ধারণা এটি আন্ডারওয়ার্ল্ডের একটি পথ আবার এটি “মাউথ টু হেল” নামেও পরিচিত। ১৯৮০ সালে প্রথম এর পরিমাপ করা হয়েছিল। বর্তমানে এর গভীরতা দাঁড়িয়েছে ৮৬ কিলোমিটার এবং দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এক কিলোমিটার। বাটাগাইকা গর্ত প্রতি বছর ২০ থেকে ৩০ মিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি থামানো অসম্ভব। জার্মানির আলফ্রেড ওয়েজেনার ইনস্টিটিউট থেকে ফ্রাঙ্ক গুন্থারের ২০১৬ সালে উপস্থাপিত একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, যে গত এক দশকের পর্যবেক্ষণে গর্তের মাথার প্রাচীর প্রতি বছর গড়ে ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট বেড়েছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন ২.৫৮ মিলিয়ন বছর আগের বরফাবৃত পারমাফ্রস্ট ভূমির বরফ গলে যাবার ফলে সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Vietnam | সিগারেটে সুখটান দিচ্ছে ওরাংওটাং, ভিডিও ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ