নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : রাজু গায়কোয়াড়ের লাল কার্ড নিয়ে সরব এসসি ইস্টবেঙ্গল। ফিফা নিয়মের বাইরে গিয়ে প্রথম হলুদ কার্ড দেখান হয়েছে বলে অভিযোগ। এবং এই বিষয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছে।
নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে দুটো হলুদ দেখায় লাল কার্ড হয় রাজুর। প্রথমটি অবৈধভাবে দেখান হয়েছে বলে অভিযোগ। থ্রো করার সময়ে দেরি করার জন্য তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। যা নিয়ে এবার অভিযোগ জানাচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। শেষ ম্যাচ ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে যাতে রাজু খেলতে পারেন, সেই চেষ্টাই এখন চলছে। তবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা অবশ্য ক্রমবর্ধমান।
দল ছাড়াও ক্লাব সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। বিশেষকরে ক্লাবে সঙ্গে সংঘাত ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যা নিয়ে বিরক্ত শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁরা মুখে যতই বলুন না কেন যে চুক্তিপত্রে সইসাবুদ না হলে বিনিয়োগকারীর ভূমিকা থেকে তাঁরা সরে দাঁড়াবেন, আদতে পালটা চাপ সৃষ্টির দিকেই যাচ্ছেন হরিমোহন বাঙ্গুররা। মরশুম শেষে শ্রী সিমেন্ট সরে দাঁড়ালে ক্লাবের ঘাড়ে যে বিশাল পরিমান আর্থিক দায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নেওয়ার ক্ষমতা যে কর্তাদের নেই সেটা ভালোই জানা দুই পক্ষেরই।
এখন বিনিয়োগকারি সংস্থা সরে যাওয়া মানে নতুনকরে এএফসি লাইসেন্স করাতে হবে। কিন্তু আর্থিক দায়ভার থাকলে সেই লাইসেন্স কখনোই হবে না। আর এই মরশুমে যেসব ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি হয়ে আছে এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে দায়ভার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কোটিতে দাঁড়াবে বলে বিনিয়োগকারী সূত্রের খবর। যা নিয়ে নতুনকরে আর কেউ আসতেই চাইবে না। একইভাবে লাইসেন্সিং না করাতে পারলে ক্লাব কোনও টুর্নামেন্টেও খেলতে পারবে না।
আপাতত এই জুজুই বিনিয়োগকারী সংস্থা দেখাচ্ছে ক্লাবকে। একইসঙ্গে শুরুতে নমনীয় মনোভাব দেখালেও পুরনো চুক্তিতে কোনও বদলও তাঁরা আনবেন না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব কারণেই আগামী মরশুমের কিছু পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে গিয়েছে এসসি কর্তৃপক্ষের। কলকাতা লিগে বি দলকে খেলান বা এ এবং বি দলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে শক্তিশালী দল গড়া, সব কাজই চলছে পরিকল্পনামাফিক।
গোয়ায় দলের জন্য জিম বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেসব ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাও চলছে। ক্লাবের কর্তৃত্ব না হাতে পেলে এখানে বিধাননগরের দিকেই আপাতত কোনও একটি মাঠ ভাড়া নিয়ে যাতে সেখানেই এসব সামগ্রী গুছিয়ে রাখা যায়, সেই নিয়ে কথা বলা শুরু হয়েছে।
তবে ইতিমধ্যে ফের একবার ফেডারেশনের কাছ থেকে গত মরশুমের বকেয়া বাবদ চিঠি এসেছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কছে। সুদেবা এফসিতে চলে যাওয়া পিন্টু মাহাতোর বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্যই এই চিঠি বলে জানা গিয়েছে।