গাজোল: রীতি মেনে নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে নবমী তিথিতে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হল গাজোল (Gajol) গোরুহাট আমপুকুরিয়া শ্মশান নবরাত্রি পুজোতে। এই পুজোর বিশেষত্ব প্রতিপদ থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী দুর্গার দশমহাবিদ্যা রূপকে এখানে পুজো করা হয়ে থাকে। তাই ব্যতিক্রমী এই পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে শ্মশানে ছুটে আসেন বহু মানুষ। রীতি মেনে প্রতিবছর এখানে নবমীর দিন অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পুজো।
শ্মশান কালী মন্দিরের সেবায়েত অতুল গুপ্ত জানালেন, দুর্গা পুজো উপলক্ষে এখানে নবরাত্রি পুজো অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য জায়গায় ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মায়ের আরাধনা করা হলেও এখানে মায়ের আরাধনা শুরু হয় প্রতিপদ তিথি থেকে। নবমীর দিন অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পুজো। বিভিন্ন লক্ষণ দেখে পুজোর জন্য একজন ছোট মেয়েকে বাছাই করা হয়। মূলত কুমারী হিসেবে তাঁকে পুজো করা হলেও তাঁর সঙ্গে এলাকার অনেক বাচ্চা মেয়ে কুমারী পুজোতে অংশগ্রহণ করে। তাদেরকেও একই রকম ভাবে সাজিয়ে পাশে বসানো হয়। শেষে তাদেরও পুজো হয়। এবার দেবী রূপে পূজিত হয়েছেন এলাকার ছোট্ট মেয়ে ঋত্বিকা ঘোষ। পাশাপাশি আরও ২০ জন কুমারী মেয়েও পূজিত হয়েছে মন্দিরে।
পুজো কমিটির সভাপতি সনাতন ঘোষ জানালেন, আগে ছোট করে শ্মশানে মায়ের পুজো হত। গত ১৩ বছর ধরে এলাকার সমস্ত মানুষ মিলেমিশে ধুমধাম সহকারে শ্মশানে মায়ের পুজো করছি। যেহেতু আশেপাশের এলাকায় কোন পুজো হয় না তাই স্বাভাবিকভাবে আমাদের এখানে মানুষের সমাগম হয় অনেক বেশি। এছাড়াও ব্যতিক্রমী হিসেবে এখানকার পুজোর নাম আছে। এখানকার পুজোকে নবরাত্রি পুজো বলেও অভিহিত করা হয়। দেবী দুর্গার দশমহাবিদ্যা রূপকে এখানে পুজো দেওয়া হয়।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন এক একটি রূপের পুজো হয়। নবরাত্রি হিসেবে নয় দিন ধরে পূজিতা হন মহাগৌরী, স্কন্ধ মাতা, কালরাত্রি, শৈলপুত্রী, চন্দ্রঘন্টা, সিদ্ধিদাত্রী, ব্রহ্মচারিণী, কুষ্মন্ডা এবং কালরাত্রি। দশমীর দিন হয় দেবীর বিসর্জন। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে এবারও বহু ভক্ত নবমীর কুমারী পুজোতে অংশগ্রহণ করেছেন। নিয়ম নীতি মেনেই এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পুজো।
আরও পড়ুন: ষোড়শোপচারে কুমারী পুজো ময়না শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠে