হরিশ্চন্দ্রপুর: লকডাউন চলাকালীন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভিঙ্গল গ্রামপঞ্চায়েতের চিথলিয়া গ্রামে এক ছাত্রীর অপহরণের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ পাশের ইলাম গ্রাম থেকে সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং তার সঙ্গে অভিযুক্তকে আটক করে।
ছাত্রীর বাবা মহিদুর রহমান বলেন, ‘গতকাল গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বেরিয়ে ছিল। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিল। এমন সময় পাশের গ্রামের আনজারুল মুসলেউদ্দিন সহ কয়েকজন তাদের তার মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর মেয়েকে উদ্ধার করতে আমরা ওদের বাড়িতে যাই। সেখানে তাদের বাড়ির লোকেরা আমাদের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এরই মধ্যে স্ত্রীর গলা থেকে সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। দেরি না করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ও স্থানীয় চাইল্ড হেল্পলাইনে খবর দিই। এদিন রাতেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তৎপরতায় মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। আমরা মোট ন’জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’
লকডাউনের মধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় এমন ঘটনায় হতভম্ব এলাকাবাসী। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত মেয়ের পরিবার। মেয়ের মা নুরজাহান বিবি জানান, ‘মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে ওই দিন রাত্রে আমরা হামলার মুখে পড়েছিলাম। বাড়ি থেকে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আমরা চাইছি প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’ মেয়ের দিদা ফেরদৌসী খাতুন জানান, ‘ধারালো অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ওরা আমাদের প্রাণে মারার হুমকি দেয়। রাত্রে চাইল্ড লাইনের তৎপরতায় ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার উদ্যোগে আমার নাতনিকে উদ্ধার করা হয়।’ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।