অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবারের পর আজ ফের কেঁপে উঠল উত্তর-পূর্ব ভারত। রবিবার মেঘালয় ও মণিপুরে কম্পন অনুভূত হল।
এদিন দুপুর ১২টা ২৪ নাগাদ মেঘালয়ের তুরা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্বে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেল ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৩.৯। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার গভীরে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
Earthquake of magnitude 3.9 on the Richter scale struck near Tura in Meghalaya at 1224 hours today: National Center for Seismology
— ANI (@ANI) June 28, 2020
এর ঠিক ১ ঘন্টা আগে সকাল ১১টা ২৪ নাগাদ মণিপুরে ভূমিকম্প হয়। মণিপুরের উখরুল থেকে থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেল ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.০। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীরে।
এরআগে সকাল ৮টা ৫৬ নাগাদ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দিগলিপুরের কাছে ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেল ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.১। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৫ কিলোমিটার গভীরে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র আন্দামানের দিগলিপুর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
শনিবারও দেশের নানা প্রান্তে ভূমিকম্প হয়। রাত ৯ট ১১মিনিট নাগাদ হরিয়ানার রোহতক কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেল ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ২.৪। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। তার আগে দুপুর ১২টা ৩২ নাগাদ লাদাখের হানলে থেকে ৩৩২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে জম্মু কাশ্মীরের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। রিখটর স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪.৪। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ কিলোমিটার গভীরে।
এর আগে শুক্রবার রাত ৯টা ৩৫ নাগাদ মিজোরামের চম্পাই থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ভূমিকম্প হয়। তার আগে রাত ৮টে ১৫ নাগাদ লাদাখের কার্গিল থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটর স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪.৫।
সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ নাগাদ মেঘালয়ের তুরা থেকে ৭৯ কিলোমিটার পশ্চিমে ভূমিকম্প হয়। রিখটর স্কেলে তীব্রতা ছিল ৩.৩। দুপুর ৩টে ৩২ নাগাদ হরিয়ানার রোহতক লাগোয়া এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। রিখটর স্কেলে তীব্রতা ছিল ২.৮। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভূমিকম্প হচ্ছে। দিল্লি, গুজরাত, কাশ্মীর, হরিয়ানা, আন্দামান, মিজোরাম, উত্তরাখন্ড, হিমাচলপ্রদেশ সহ দেশের নানা প্রান্তে ভূমিকম্প হয়েছে। কম্পনের মাত্রা কম থাকলেও একের পর এক কম্পন ভূবিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তাঁদের মতে, একের পর এক স্বল্প মাত্রার কম্পন বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত নিয়ে আসছে।