আঙ্কারা: শুক্রবার তুরুস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু হল ১২ জনের। গ্রিসেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গ্রিস ও তুরস্ক মিলে এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন চারশোরও বেশি মানুষ। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। তুরুস্কের ইজমিরে ভেঙে পড়া বিল্ডিংগুলিতে আরও অনেকেই আটকে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন এজিয়ান সাগর সংলগ্ন এলাকা, তুরুস্কের পশ্চিমাংশ, গ্রিসের পূর্ব দিকের বেশকিছু দ্বীপ এবং রাজধানী এথেন্সে জোরালো কম্পন হয়েছে।
তুরুস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৬ রিখটার। অন্যদিকে, আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭ রিখটার।
তুরুস্কের পশ্চিমাংশের শহর ইজমিরে বেশকিছু বাড়ি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইজমিরের মেয়র জানিয়েছেন, কমপক্ষে ২০টি ভেঙে গিয়েছে। অন্যদিকে, গ্রিসের সামোস দ্বীপে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিন ভূমিকম্পের পর তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়েপ এরদোগানকে ফোন করে শোকপ্রকাশ করেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস। ভূমধ্যসাগর নিয়ে তুরুস্ক ও গ্রিসের মধ্যে বিবাদ চললেও এই দুঃসময়ে তুরুস্কের পাশে দাঁড়িয়েছেন মিৎসোতাকিস। পাশাপাশি সংকট মোকাবিলায় তরুস্ককে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এছাড়া সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ফ্রান্স, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো।