ময়নাগুড়ি: পঠনপাঠন সহ নানা অভিযোগ তুলে শিশুশিক্ষাকেন্দ্রে তালা দিলেন অভিভাবকদের একাংশ। ঘটনার চারদিন পেরোলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে মাঠে বসেই ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিলও। এমনকি সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের প্রথমদিনের পরীক্ষা বাতিল করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ময়নাগুড়ির(Mainaguri) চূড়াভাণ্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য শালবাড়ি দুর্গাবাড়ি শিশুশিক্ষাকেন্দ্রের ঘটনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছেন ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী।
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও প্রায়দিনই একজন বা বড়জোর দু’জন উপস্থিত থাকেন। যার ফলে স্কুলের পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। এছাড়া স্কুলে পানীয় জলের সুব্যবস্থা নেই। পানীয় জলের জন্য একটি পুরোনো টিউবওয়েল রয়েছে যা থেকে আয়রনযুক্ত জল বের হয়। সেই জলেই স্কুলের মিড-ডে মিল রান্না হয় ও পড়ুয়ারা পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করে। স্কুলে শৌচাগার থাকলেও সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই অভিযোগ অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। যার ফলে সোমবার স্কুলে তালা লাগিয়ে দেন অভিভাবকদের একাংশ। অভিভাবক অমল রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে চরম অব্যবস্থার মধ্যে স্কুল চলছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে স্কুলে তালা দিয়েছেন। অভিভাবক রতন মণ্ডল জানান, সমস্যাগুলি দূর করে সুষ্ঠুভাবে স্কুল পরিচালনা করা হোক। স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুজাতা সরকার জানান, স্কুলে তালা দেওয়ার বিষয়টি স্কুলের সভাপতি ও সম্পাদককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তাঁরা অভিভাবকদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। স্কুলের কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে পঠনপাঠন ও মিড-ডে মিলের বিষয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি গোপেশচন্দ্র রায়কে এই বিষয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে কি অভিযোগ রয়েছে খতিয়ে দেখা হবে। দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে।
আরও পড়ুনঃ সদ্যোজাতর মুখ দেখতে হাজার হাজার টাকা ‘নজরানা’ আদায়! কাঠগড়ায় জেলা হাসপাতাল