বক্সিরহাট: ফের বক্সা থেকে হাতি এল বক্সিরহাট (Bakshirhat) থানা এলাকায়। শারদোৎসবের মধ্যেই গ্রামে হাতি ঢোকায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার ভোরের দিকে মহিষকুচি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকোয়ামারি বনাঞ্চল সংলগ্ন মধুরভাসা এলাকায় একটি দাঁতালকে দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে বন দপ্তরের কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। বন দপ্তরের কোচবিহারের এডিএফও বিজন কুমার নাথ জানান, এদিন বক্সার জঙ্গল ছেড়ে একটি হাতি জাতীয় সড়ক পার হয়ে মধুরভাসা এলাকায় ঢুকে পড়ে। পরে সেটি রামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাগড়িবাড়ি গ্রামের তিরকিপাড়ার একটি জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। দিনভর হাতিটি জঙ্গলের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। হাতিটি যেহেতু জঙ্গলে রয়েছে তাই তারা তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন না। যাতে সেটি লোকালয়ে ঢুকতে না পারে তার জন্য তারা জঙ্গলের চারদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকার জন্য মাইক যোগে জানানো হয়েছে। হাতি হাড়িয়া এবং মদের গন্ধে আকৃষ্ট হয়। তাই উৎসবের সময় হলেও এলাকায় যাতে কেউ মদ বা হাড়িয়া ব্যবহার না করেন সেই দিকেও সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
কেন বারবার একই এলাকায় হাতি আসছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিজনবাবু জানান, হাতিরা মাঝেমধ্যে তাদের খাবারের স্বাদ বদল করতে চায়। এছাড়া এরা ঘোরাফেরা করাও খুব পছন্দ করে। এদের স্মৃতিশক্তিও খুব প্রখর। দলছুট হয়ে কোনও কারণে যদি কোনও হাতি একবার নিজ বাসস্থান এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও যায়, যদি সেই এলাকাটা তার পছন্দ হয় তবে সেই হাতি স্বাদ পরিবর্তন করতে ও ঘুরতে মাঝেমধ্যেই সেখানে যায়। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পুনরায় তারা ফিরেও যায়। তবে তারা নজর রাখছেন ওই হাতিটি যাতে লোকালয়ে ঢুকে কোনও ক্ষতি করতে না পারে।
আরও পড়ুন : বৈরাতি নৃত্যের মাধ্যমে মহিলাদের পুজোর সূচনা