কালচিনি: হাতির তাণ্ডব (Elephant Attack) থেকে কিছুতেই রেহাই পাচ্ছেন না কালচিনি ব্লকের চা বাগান ও বনবস্তির বাসিন্দারা। বুধবার ভোরে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে একটি বিশালাকার হাতি বের হয়ে এসে হামলা চালায় ভাটপাড়া চা বাগানের আউট ডিভিশন আচ্ছাপাড়া বাগানে। বাগানের গার্ড লাইনে ঢুকে প্রথমে হাতিটি হামলা চালায় বাগানের শ্রমিক হরিরাম মাহালির আবাসনে। ওই আবাসনের পাকা ঘর ভেঙে র্যাশন সামগ্ৰী খেয়ে পাশের দীপক মাহালির আবাসনে হামলা চালায় হাতিটি। দীপকের আবাসনের পাকা ঘর ভেঙে সেখান থেকেও র্যাশন সামগ্ৰী খেয়ে সাবাড় করে হাতিটি। শ্রমিকরা সেই সময় ঘুমিয়েছিলেন। হাতির হামলা টের পেয়ে তাঁরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে বের হয়ে চিৎকার শুরু করলে অন্য শ্রমিকরা বের হয়ে এসে টিন বাজাতে শুরু করলে হাতিটি ওই বাগান থেকে বের হয়ে বাগান সংলগ্ন পানা নয়াবস্তিতে ঢুকে পড়ে। সেখানকার বাসিন্দা মনিরাজ পরগালির সুপারি বাগান তছনছ করে হাতিটি। এরপর ভোরের আলো ফোটার আগেই হাতিটি জঙ্গলে ফিরে যায়।
বাগানের বাসিন্দাদের অভিযোগ হাতি নিয়মিত হামলা চালিয়ে শ্রমিকদের প্রচুর ক্ষতি করছে। কিন্তু বন দপ্তর ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। এতে গভীর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ শ্রমিকদের। বাগানের শ্রমিকরা এমনিতেই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করেন। তার ওপর এভাবে হাতির হামলা চলতে থাকায় শ্রমিকদের জীবনধারণ করায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। বুধবার সকালে অবশ্য বনকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীন পানা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার অর্ণব চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন জানালে তাঁদের সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।‘