রাঙ্গালিবাজনা: রবিবার রাত থেকে সোমবার ভোরবেলা পর্যন্ত মাদারিহাটে তাণ্ডব চালাল ধুমচি ফরেস্ট থেকে আসা ২৭টি হাতি। এতে মাদারিহাটের প্রধাননগর, মেঘনাদ সাহা নগর ও খয়েরবাড়ির মধ্য ছেকামারির মোট ১২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। কমবেশি ২০০টি সুপারি গাছ ভেঙেছে হাতিগুলি। সোমবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত বিষ্ণু ওরাওঁ, বাসুদেব শৈবরা।
ক্ষতিগ্রস্তরা সোমবার মাদারিহাট রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এলাকায় হাতির হানা রুখতে রাতভর টহল দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। এদিকে, প্রধাননগর ও ছেকামারি লাগোয়া এলাকায় এদিন বিকেলেই খয়েরবাড়ি ফরেস্টের হাতি বেরিয়ে পড়ে। পটকা ফাটাতে থাকেন স্থানীয়রা। গতি কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের।
প্রধাননগরের প্রফুল্ল বর্মনের ২টি দোকান টংকা বাহাদুর ছেত্রী, দিলু দাস, তহিদুল মিয়াঁ, জয়নুল মিয়াঁ, রাধিকা রায়ের ঘরগুলি ভাঙচুর করে খাবারের খোঁজ করে হাতিগুলি। বৃদ্ধা সূরজমায়া ছেত্রী তাঁর মেয়ে যশোদা কুমারি ছেত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। একটি দাঁতাল হাতির আক্রমণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরটি। পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হন যশোদা। সূরজমায়ার ছেলে জনক ছেত্রীর অভিযোগ, প্রতিরাতেই হাতি হানা দিচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তেই প্রাণহানির আশঙ্কা থাকছে। বন দপ্তর হাতির হানা রুখতে ব্যর্থ। রেঞ্জার শ্রীবাস সরকার জানান, তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।