রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: করোনা চিকিৎসা আর হবে না উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। শুক্রবার থেকে করোনার চিকিৎসার জন্য প্রধাননগরের একটি হাসপাতালকে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে রোগীদের স্ক্রিনিং করে করোনার উপসর্গ থাকলে মেডিকেলে তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হবে। লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে সেই রোগীকে হিমাঞ্চল বিহারের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওযা হবে। বৃহস্পতিবার উত্তরকন্যায় একটি বৈঠকের শেষে রাজ্যের করোনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী এই কথা জানান।
তিনি বলেন, করোনা নিয়ে উত্তরবঙ্গে আতঙ্কের কিছুই হয়নি। এক-দুটো মৃত্যু হলেই সবাই আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছেন, করোনা মানেই হয়তো মৃত্যু-এসব ধারনা পুরোপুরি ভ্রান্ত। চিকিৎসক, নার্স এবং চিকিৎসাকর্মীদের মধ্যেও অনেকেই এই রোগ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হচ্ছেন, তা দূর করতেই আমি এসেছি।’
আরও খবর: এক বছরের জন্য রাজ্যের বিধায়কদের বেতন ৩০ শতাংশ কমাল মহারাষ্ট্র
অভিজিৎবাবু আরও বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। রাজ্যে ৬০টি কোভিড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটিতেই চারটি করে ভেন্টিলেটর মেশিনও পাঠানো হয়ে গিয়েছে। তবে, করোনা হলেই ভেন্টিলেশন দিতে হবে বা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ডোজ খাওয়াতে হবে এসব ধারনা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’ নিজের অজ্ঞতা থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের কাছে এই ওষুধ চেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন দুপুরে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে উত্তরকন্যায বৈঠক করেন দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পরে অভিজিৎবাবু বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা, এখানকার আট জেলার সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিস্থিতিয় মোকাবিলা করার জন্য ডাঃ গোপালকৃষ্ণ ঢালি শিলিগুড়িতে থাকছেন। আগামী দুই সপ্তাহ তিনি শিলিগুড়িতে থাকবেন।’
প্রসঙ্গত, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মেডিকেলে দু’জনের মৃত্যু নিয়ে জানতে চাইলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিজিৎবাবু। এমনকি চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের কোয়ারান্টিনে নেওয়ার ব্যাপারেও কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। বরং তাঁর জবাব, ‘আইন মেনেই সব করা হচ্ছে।’