জয়গাঁ: ভারতীয় প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় ভুটানে পড়ে রয়েছে ভারতীয় শ্রমিকের দেহ। গত তিন দিন ধরে মৃত শ্রমিকের দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত জয়নাল মিঞা (৫৩) কোচবিহার জেলার বক্সির হাটের রশিক বিল এলাকার বাসিন্দা। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভুটানের থিম্পুতে যান শ্রমিকের কাজ করতে। ১৭ এপ্রিল থিম্পুতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় জয়নালের। ভুটান প্রশাসনের তরফে জয়নালের মৃত্যুর খবর তার বাড়ি ও ভুটানে কর্মরত ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেলকেও জানান হয়।
মৃতের পরিবারকে ভুটান প্রশাসনের তরফে জানানো হয় জয়গাঁ সংলগ্ন ভুটানের ফুন্টশোলিং থেকে দেহ নিয়ে যেতে। সেই মতো জয়নালের পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার জয়গাঁয় আসেন। অভিযোগ জয়গাঁ থানার পুলিশ তাদের ভুটান থেকে দেহ আনতে বাধা দেয়। তাদের বলা হয় জেলা শাসকের অনুমতি না পেলে দেহ জয়গাঁয় আনা যাবে না।
মৃত জয়নালের ভাই সামসেদুল মিঞা বলেন, ‘ভুটান প্রশাসন তাদের জানায় রবিবারের মধ্যে দেহ না নিলে ভুটানেই দেহ সৎকার করা হবে। দেহটি তিন দিন ধরে ফুন্টশোলিং হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে। লকডাউন চলছে বলে দাদার মৃত দেহ নেওয়ার জন্য বক্সিরহাট থানা ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি পত্র আমরা সঙ্গে এনেছি। তবুও প্রশাসনের তরফে দাদার দেহ কেন নিয়ে যেতে দিচ্ছে না সেটা বুঝতে পারছিনা আমরা’।
জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন জেলা শাসক অনুমতি দিলেই পুলিশ মৃতের দেহ ভারতে আনার ছাড়পত্র মৃতের পরিবারকে দিতে পারবে।
অন্যদিকে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনাকে ফোন করা হলেও তিনি ব্যস্ত থাকায় এই বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
যদিও রবিবার বিকেলে জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা ফোন না ধরায় এ বিষয়ে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।