বুনিয়াদপুর: ময়নাতদন্তের আগেই হাসপাতাল থেকে শিশুর দেহ নিয়ে গায়েব হলেন পরিবারের লোকজন। শুক্রবার বংশীহারি ব্লকের রশিদপুর হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। চিকিৎসক ও সিভিক ভলান্টিয়াররা হাসপাতালে থাকার পরও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বংশীহারি ব্লকের বিশ্বনাথপুর রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রমে ১০ দিন ধরে চলছে নানা অনুষ্ঠান। এদিন সেখানে গোষ্ঠ লীলার আয়োজন করা হয়েছিল। লীলা দেখতে গাজোল কদুবাড়ি এলাকা থেকে মা প্রিয়াংকা কুণ্ডুর সঙ্গে বিশ্বনাথপুর গ্রামে মামার বাড়িতে এসেছিল আয়ুষ কুণ্ডু (৪)। এদিন শিশুটির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের দাদু পরিতোষ মণ্ডল জানান, এদিন বেলা বারোটা নাগাদ বাড়ির পেছনের পুকুরে আয়ুষের দেহ ভাসতে দেখেন। এরপর বাইকে করে তাকে রশিদপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতের পরিবারের লোকজন দেহ গাজোলে নিয়ে গিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এখানেই রশিদপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সেখানে মোতায়েন থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এ বিষয়ে বিএমওএইচ পুলকেশ সাহা জানান, তিনি এদিন হাসপাতালে ছিলেন না। তাই বিষয়টি জানা নেই। যিনি ডিউটিতে ছিলেন তিনিই এই বিষয়ে বলতে পারবেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ফিরোজ জামান বলেন, ‘আমি এদিন আউটডোর ও ইমার্জেন্সি-
দুই জায়গাতেই ডিউটি করছি। কখন বাচ্চাটির দেহ নিয়ে ওঁনারা চলে গিয়েছেন, তা জানি না। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নজর রাখা উচিত ছিল।‘ পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
লাইক করুন আমাদের ফেইসবুক পেজ : https://www.facebook.com/uttarbangasambadofficial