হলদিবাড়ি : লকডাউনের জেরে হলদিবাড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ভিনরাজ্যে ফসলের চাহিদা তলানিতে ঠেকায় ফসল জমিতে পড়ে থেকে নষ্ট হতে বসেছে। অনেকেই গোরুকে জমির ফসল খাইযে দিচ্ছেন। এতে মাথায় হাত পড়েছে এলাকার কৃষকদের। কৃষিনির্ভর ব্লক হিসেবে পরিচিত হলদিবাড়ি। ব্লকের কৃষকরা হেমকুমারি, দেওয়ানগঞ্জ, দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ি, উত্তর বড় হলদিবাড়ি, বক্সিগঞ্জ, পারমেখলিগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায টমেটো, লংকা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ঝিঙে, আলু, মটরশুঁটি, বিনস, করলা ইত্যাদি চাষ করেন।
প্রতিবছর এসব চাষ করে উপার্জন করেন কৃষকরা। এ বছর উত্তর বড় হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জুম্মা এলাকায় বেশ কয়েকজন চাষি প্রচুর বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করেছিলেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে সবজির চাহিদা ও দাম তলানিতে ঠেকেছে বলে তাঁদের অভিযোগ। স্থানীয় চাষি বিকাশ সরকার, রতন সরকার, মকসেদুল হক বেশ কয়েক বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করেছেন। কিন্তু ভিনরাজ্যের বাজার বন্ধ থাকায় ও চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজারে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে না। তাছাড়া বাইরের পাইকার না আসায় সমস্যা আরও বেড়েছে। অন্য আরেক চাষি মানাউ মহম্মদ বলেন, ‘গতবছরও বেশ কযে বিঘা জমিতে দুই প্রকারের কপি চাষ করি। এই সমযে ভালো চাহিদা ছিল। প্রচুর আয় হয়। কিন্তু লকডাউনের জেরে এ বছর স্থানীয় ও বাইরের বাজারে চাহিদা না থাকায় ফসল জমিতে পড়ে থেকে নষ্ট হতে বসেছে।’ নিতাই রায় বলেন, ‘এ বছর এখনও বাজারে বাঁধাকপি বিক্রি করতে পারিনি। জমিতে খরচের সব পযসা জলে গেল। তাই মনের দুঃখে জমির ফসল গোরু দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছি। বর্তমানে হলদিবাড়ি শহরের খুচরো বাজারে ১০ টাকায় তিনটি গোটা বাঁধাকপিও কেউ নিতে চায় না।’ পরিতোষ মণ্ডল বলেন, ‘বর্তমানে হলদিবাড়ি পাইকারি বাজার থেকে টমেটো, লংকা সহ অন্য ফসল ভিনরাজ্যে যাচ্ছে। কিন্তু কপি যাচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছি হলদিবাড়ি ব্লকের চাষিরা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি।’
ছবি- জমিতে পড়ে রয়েছে কপি।
তথ্য ও ছবি- অমিতকুমার রায়