তুফানগঞ্জ: অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর উত্তরবঙ্গে আগে থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে সবজি চাষ করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বহু কৃষক। তারই মধ্যে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের ধলপল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাটরামপুর এলাকার কৃষক কানাই দাস এক বিঘা জমিতে অসময়ে বাঁধাকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা বিক্রি হবে বলে আশাবাদী কানাই বাবু।
তিনি ফাল্গুন মাসের প্রথমে এক বিঘা জমির জন্য ৪০ গ্রাম বীজ ফেলেছিলেন। চৈত্র মাসের প্রথমে জমিতে চারা রোপণ করেছিলেন। প্রায় দু’মাসের মাথায় ফলন তুলতে শুরু করেছেন। এখন বাঁধাকপির পাইকারি বাজার দর ৩৫-৪৫ টাকা কেজি প্রতি। তিনি প্রায় সাত হাজার চারা রোপণ করেছেন। প্রতিটি বাঁধাকপির ওজন ৫০০ গ্রাম ১ কেজির মধ্যে। মূলত গোবর সার দিয়েই চাষ করেছেন। মাঝে দু’বার চাপান সার প্রয়োগ করেছেন। কপিতে কোনও রকমের পোকা ধরেনি। যদিও অসময়ের কপিতে পোকামাকড়ের উপদ্রব খুব বেশি হয়ে থাকে। তুফানগঞ্জের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারও যাচ্ছে তাঁর বাঁধাকপি। তাঁর কপির চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
কানাই বাবু জানান, অসময়ে বাইরের বাঁধাকপি আমাদের খেতে হয়। কিন্তু আমার ইচ্ছে ছিল অসময়ে এখানে কপি চাষ করা। কিন্তু এই প্রথম বার অসময়ে বাঁধাকপি চাষ করে খুব ভালো মানের ফলন হয়েছে। শীতকালের তুলনায় এখন দাম বহুগুণ বেশি। শীতকালে ৫-৬ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন সেই দাম কেজিপ্রতি ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালে বাঁধাকপির ওজন এক থেকে দেড় কেজি হলেও এখন সেই ওজন কিছুটা কম হলেও লাভ বেশি। আগামীতেও অসময়ে বাঁধাকপি চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে। কোচবিহার জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা (প্রশিক্ষণ) রজত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দিন দিন কৃষকের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা করেই তাঁরা চাষ করছেন। ফলে সাফল্য দেখা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন : নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে গেল ট্যাংকার, দেদারে চলল তেল লুট