ফতোরদা : আশঙ্কা ছিল, সেটাই সত্যি হল। আইএসএলে ফের স্থগিত এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ। শনিবার ফতোরদায় বেঙ্গালুরুর এফসির বিরুদ্ধে নামার কথা ছিল রয় কৃষ্ণাদের। কিন্তু কোভিড সংক্রমণের কারণে শুক্রবার থেকেই ম্যাচ আয়োজন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত ফুটবলারদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার কথা ভেবে এটিকে মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিল লিগ কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহে ওডিশার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার স্থগিত হল সবুজ-মেরুনের ম্যাচ। কোভিড সংক্রামিতের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী বাগান শিবিরে। কোভিড থাবা বসিয়েছে বেঙ্গালুরু শিবিরেও। গত কয়েকদিন কঠিন নিতৃতবাসে কাটাতে হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান, বেঙ্গালুরু সহ বেশ কয়েটি দলকে। তবে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে এফসি গোয়া, কেরালা ব্লাস্টার্সের মতো দলকে যখন ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তখন এটিকে মোহনবাগানকে ছাড় কেন এই প্রশ্ন উঠছে।
এটিকে মোহনবাগানের আগে করোনা থাবা বসিয়েছিল এফসি গোয়া শিবিরে। সেই প্রতিকূলতার মধ্যেও ম্যাচ খেলতে হচ্ছে ডেরেক পেরেরার দলকে। শুক্রবারও নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল গোয়া। ফলে শনিবার দ্বিতীয়বারের জন্য সবুজ-মেরুনের ম্যাচ স্থগিত হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এফসি গোয়ার অধিনায়ক এডু বেদিয়া। লিগ কর্তৃপক্ষের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বেদিয়ার বক্তব্য, গতকাল ৯টি কোভিড কেসের ঘটনা থাকা সত্ত্বেও আমরা ম্যাচ খেলতে নেমেছিলাম। অথচ আজকে একই কারণে লিগের আরেকটি দলের ম্যাচ দ্বিতীয়বারের জন্য স্থগিত করা হল। তা কেন, সেটা বোধগম্য হচ্ছে না। এমন উদ্ভট নিয়মে প্লেয়াররা খেলার আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন বেদিয়া। এফসি গোয়ার স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের দাবি, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা প্রতিটি ফুটবলার এখন টুর্নামেন্ট শেষ হলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আইএসএলের অন্দরে। লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি আবেদন না করলেও ক্লাবগুলির অধিকাংশই লিগ আপাতত সপ্তাহ দুয়েকের জন্য বন্ধ রাখার ব্যাপারে একমত। সেই পথে আয়োজকরা হাঁটবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।