পুরাতন মালদা : শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিসংযোগের জেরে পুড়ে ছাই হয়ে গেল এক গৃহস্থের বাড়ি। শনিবার সকাল আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর উপসাকর্মা গ্রামে। গৃহস্থের জমানো নগদ টাকা, আসবাব ও কিছু সোনার গয়না আগুনে পুড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহাপুরের শান্তিপুর উপসাকর্মার বাসিন্দা রতন মুদি পেশায় কৃষিজীবি। গ্রামেই টিনের ছাউনি দেওয়া মাটির দোতলা বাড়ি রয়েছে তাঁর। পাকা বাড়ি তৈরী করবেন বলে নিজের জমানো টাকা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা এবং ঋণের টাকা তিনি বাড়িতেই জমিয়ে রেখেছিলেন। ভোরে বৃষ্টি হওয়ায় বৈদ্যুতিক গোলোযোগ দেখা দেয় ওই গ্রামে। সেখান থেকেই রতন মুদির বাড়ির টিনের চালে শর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বলে অনুমান পুলিশের।
আগুন ধীরে ধীরে মাটির দোতলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে টিনের তোরঙ্গে রাখা নগদ টাকা ও সোনার অলঙ্কার পুড়ে খাক হয়ে যায়। আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে হুলুস্থুলু বেঁধে যায়। গ্রামবাসীদের মিলিত চেষ্টায় প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে পাশের পুকুরের জল দিয়ে আগুন নেভানো হয়। আগুনে সম্পত্তি নষ্ট হলেও ওই পরিবারের কারও ক্ষতি হয়নি। আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
পরিবারের কর্তা রতন মুদি বলেন, স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে কোনও রকমে সংসার চলে। অনেক কষ্ট করে ও ঋণ নিয়ে টাকা জমিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকাও ছিল। ভেবেছিলাম বাড়িটা পাকা করব। গতকাল রাতেই চার লক্ষ টাকা গুনে তোরঙ্গে রাখলাম। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই অবস্থায় না খেতে পেয়ে পথে বসতে হবে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মালদা থানার পুলিশ। সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। লকডাউনে পরিবারটি যাতে খাদ্য সংকটে না পড়ে সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন।