পারডুবি ও তুফানগঞ্জ: করোনা আবহের মধ্যে যাতে শহর বাসীদের বাড়ির বাইরে এসে মাছ কিনতে না হয়, বুধবার মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের বিডিও অফিসে মৎস দপ্তরের উদ্যোগে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার মাছ ব্যবসায়ীদের সরকারি উদ্যোগে সাইকেল ও মাছ সংরক্ষণের বাক্স বিলি করা হয়।
এদিন মাছ বিক্রেতাদের হাতে সাইকেল তুলে দেন মাথাভাঙ্গা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নৃপেন্দ্র নাথ বর্মন, মৎস ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ করুনা বর্মন, ব্লকের মৎস সম্প্রসারণ আধিকারিক অম্লান দাশগুপ্ত সহ ব্লক প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। যদিও ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্লকের ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক মাছ ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে এদিন ১৫ জনকে সাইকেল ও মাছ সংরক্ষণের বাক্স বিলি করা হয়।
এবিষয়ে মাথাভাঙ্গা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নৃপেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রান্তিক এলাকার মৎসজীবীদের আর্থিক ভাবে সাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে তাদের মাছ ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এধরনের অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরফলে গ্রামের দুঃস্থ মাছ ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন বলে জানান তিনি।
এদিন নৃপেন্দ্র বাবু আরও জানান, ব্লকের মৎস ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ করুনা বর্মন জানান, সাধারণত গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ছোট মাছ ব্যবসায়ীরা ড্রামে বা হাড়িতে মাছ নিয়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করেন। তাদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে সরকারি উদ্যোগে মৎস দপ্তরের তরফে এদিন সাইকেল ও বাক্স বিতরণ করা হল।
প্রান্তিক মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, কালু নমদাস, বিশ্বজিৎ বর্মনরা বলেন, ‘আর্থিক অনটনের জের পায়ে হেঁটে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করে রুজিরোজগার করে দিন চলে। সরকারি উদ্যোগে সাইকেল পেলাম এদিন। এখন আরো কম সময়ে বেশি গ্রামে ঘুরে মাছ বিক্রি করে ভালো আয় হবে।‘

অন্যদিকে, তুফানগঞ্জ শহরের আট জন মাছ বিক্রেতার হাতে আইস বক্স সহ আটটি সাইকেল তুলে দিল তুফানগঞ্জ পুরসভা। এদিন বিকালে তুফানগঞ্জ পুরভবনে আইচ বক্স সহ সাইকেলগুলো তুলে দেওয়া হয়। আইসবক্স সহ সাইকেলগুলো মাছ বিক্রেতাদের হাতে তুলে দেন তুফানগঞ্জ পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক মনোরঞ্জন রায়, তুফানগঞ্জ পুরসভার ৩ ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটার কনোজ বর্মা, ৫ ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটার অম্লান বর্মা, ১২ ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটার ইন্দ্রজিৎ ধর, পুরকর্মী মনিময় দাস।
আইসবক্স সহ সাইকেল পেয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবে খুশি ওই আট জন মাছ বিক্রেতা। মাছ বিক্রেতা তথা তুফানগঞ্জ শহরের ৩ ওয়ার্ডের বাসিন্দা ধনেশ্বর বর্মন, ৫ ওয়ার্ডের বাসিন্দা চন্দ্র মোহন দাসেরা জানান, এরফলে তাঁদের ব্যবসা করতে সুবিধা হবে।