চাঁচল, ২৬ সেপ্টেম্বর: এক মাস আগে তৈরি করা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল মালদার বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে রতুয়ার কাহালা সূর্যাপুর রিং বাঁধ ভেঙে ফুলহার নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। রতুয়া-১ ব্লকের রতুয়া, কাহালা, দেবীপুর, বাহারাল, ভাদো ও চাঁচল-২ ব্লকের ধাংগাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। দুর্গাপুজোর ঠিক আগে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক লক্ষ মানুষ। অনেকেই গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। উত্তর মালদার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন। জলের তলায় চলে গিয়েছে কৃষিজমি, বাগান। বর্ষায় সময়েই ফুলহারের স্রোতে ভেঙে যায় সূর্যাপুর বাঁধ। তখনও প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। সেচ দপ্তরের উদ্যোগে তৈরি করা হয় কাহালা সূর্যাপুর রিং বাঁধ। কিন্তু মাস পেরোতে না পেরোতেই সেই রিং বাঁধ আজ জলের তোড়ে ভেসে গেল। ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধ দেওয়া ও বন্যা রোধের নামে সরকারের কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। দুর্নীতির জন্যই সদ্য তৈরি হওয়া বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রতুয়া-১ ব্লকের বিডিও সারওয়ার আলি। তিনি বলেন, ‘সূর্যাপুরে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামের দিকে। আমরা গ্রামবাসীদের সচেতন করেছি। স্থানীয় স্কুলগুলিতে শিবির করা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হবে। আমরা সবরকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছি।’